ভারত সফরে জয় এখনও অধরা বাংলাদেশের। টেস্টের পর টি-টোয়েন্টি। ধরাবাহিক ব্যর্থ সফরকারী দলটি। দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে একই দশা হলে এক ম্যাচ বাকি থাকতেই কপালে জুটবে সিরিজ হার। তবে, ঘুরে দাঁড়াতে মরিয়া নাজমুল হোসেন শান্তর দল।
সাদা পোষাকে সিরিজ খোয়ালেও শর্টার ফরম্যাটে জিততে চায় বাংলাদেশ। এদিকে, ছন্দ ধরে রাখাই মূল লক্ষ্য স্বাগতিক ভারতের।
দিল্লির অরুন জেটলি স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি শুরু হবে বংলাদেশ সময় বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায়।
পাকিস্তান থেকে ভারত। দুই দেশে বাংলাদেশেল পারফরম্যান্স যেন মূদ্রার এপিঠ আর ওপিঠ। টেস্ট থেকে টি-টোয়েন্টি, দুই সংস্করণেরই ব্যাটিং ব্যর্থতায় ধুকছে নাজমুল শান্তর দল।
টি-টোয়েন্টিতে তরুণদের নিয়েই দল সাজিয়েছে বাংলাদেশ। ঘরোয়া লিগে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করেই জাতীয় দলে জায়গা করে নিয়েছে তানজীদ তামিম-জাকের আলীরা। তবে ভারতে প্রথম ম্যাচে আলো ছড়াতে পারেনি কেউই। এই ম্যাচে কি পরফরম্যান্সে বলদ আনতে পারবে তারা।
জ্বলে উঠতেই হবে বাংলাদেশকে। একই ধারায় থাকলে এক ম্যাচ বাকি থাকতেই হাতছাড়া হয়ে যাবে সিরিজ। টেস্টের পর টি-টোয়েন্টিতে এটা হতে দিতে চায়না সফরকারীরা।
১৪ দেখায় টি-টোয়েন্টিতে ভারতের বিপক্ষে একবারই জিতেছে বাংলাদেশ। সেটাও ভারতের মাটিতেই। সূর্যকুমার-স্যামসনদের মাটিতেই হারিয়ে সিরিজ বাঁচানোর লক্ষ্য টাইগারদের।
এদিকে, টেস্টে দুর্দান্ত জয়ের পর টি-টোয়েন্টিতেও বাংলাদেশকে ছাড় দেয়নি স্বাগতিক ভারত। তিন ম্যাচের সিরিজে লিডে আছে সফরকারীরা। তবে এগিয়ে থাকলেও দ্বিতীয় ম্যাচকে হালকাভাবে নিচ্ছে না টিম ইন্ডিয়া। ছন্দ ধরে রাখতে সর্বোচ্চ দিয়েই লড়তে চায় সূর্যকুমার যাদবের দল।
শান্তর মতে, পাওয়ার প্লে সঠিকভাবে কাজে লাগাতে না পারলে পরের দিকের ব্যাটারদের উপর চাপ সৃষ্টি হয়। আমাদের প্রথম ছয় ওভারে উইকেট ধরে রাখতে হবে এবং রান করতে হবে। নয়তো পরের দিকে ব্যাটারদের জন্য খুব চ্যালেঞ্জিং হয়ে পড়বে। পাওয়ার প্লেতে আমাদের লড়াই করতে হয়েছে। পাওয়ার প্লেতে যারা ব্যাট করে তাদের দায়িত্ব নিতে হবে।
শান্ত আরও জানান, ভারতের এই দলকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিতে হলে প্রতি ম্যাচেই ১৮০ রান করার কৌশল শিখতে হবে, আমরা ঘরের মাঠে ১৪০-১৫০ রানের উইকেটে খেলি। আমাদের ব্যাটাররা জানে না কিভাবে ১৮০ রান করতে হয়। আমি শুধু উইকেটকেই দায়ী করবো না।
বাংলাদেশ দল
নাজমুল হোসেন শান্ত (অধিনায়ক), তানজিদ হাসান তামিম, পারভেজ হোসেন ইমন, তাওহিদ হৃদয়, মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ, লিটন কুমার দাস, জাকের আলি অনিক, মেহেদি হাসান মিরাজ, মাহেদি হাসান, রিশাদ হোসেন, মুস্তাফিজুর রহমান, তাসকিন আহমেদ, শরিফুল ইসলাম, তানজিম হাসান সাকিব ও রাকিবুল হাসান।
ভারত দল
সুর্যকুমার যাদব (অধিনায়ক), অভিষেক শর্মা, সঞ্জু স্যামসন, রিঙ্কু সিং, হার্দিক পান্ডিয়া, রিয়ান পরাগ, নিতিশ কুমার রেড্ডি, তিলক ভার্মা, ওয়াশিংটন সুন্দর, রবি বিষ্ণোই, ভারুন চক্রবর্তী, জিতেশ শার্মা, অর্শদিপ সিং, হার্শিত রানা ও মায়াঙ্ক যাদব।