এবার বাংলাদেশিদের ওপর নতুন করে চাপ সৃষ্টির চেষ্টা চালাচ্ছে মোদি সরকার। ভারতপুষ্ট স্বৈরাচার হাসিনার পতনের পর থেকে বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক এখনও স্বাভাবিক করতে পারেনি নয়া দিল্লি। বন্ধ হয়নি সীমান্ত হত্যাও। এবার ভারতবিরোধী মন্তব্য করায় ভিসা বাতিল হলো বাংলাদেশি যুবকের। খবর ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্থান টাইমসের।
গতকাল (১৬ সেপ্টেম্বর) প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়- ভারতবিরোধী মন্তব্য করায় ভিসা বাতিল করে এক বাংলাদেশিকে দেশে ফেরত পাঠিয়েছে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। ভিসা বাতিল হওয়া ব্যক্তির নাম আলমগির। তিনি লালমনিরহাটের বাসিন্দা।
প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, পর্যটন ভিসায় ভারতে গিয়ে আলমগির তাজমহলের সামনে দাঁড়িয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় লাইভে এসে ভারতিবরোধী মন্তব্য করেন। যার কারণে তার ভিসা বাতিল করা হয়।
জানা গেছে, গতকাল (সোমবার) সকালে কোচবিহারের চ্যাংরাবান্ধা স্থলবন্দর দিয়ে আলমগিরকে দেশে ফেরত পাঠিয়ে দেয় ভারত সরকার। গত ৩ সেপ্টেম্বর আলমগির (৩৫) পর্যটন ভিসা নিয়ে ভারতে প্রবেশ করেছিলেন। এর পর আগ্রায় পৌঁছন তিনি।
সেখানে তাজমহলের সামনে দাঁড়িয়ে তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় লাইভ করে বলেন, ‘১৯৭১ সালে ভারত আমাদের অনেক সহযোগিতা করছেন, পাশাপাশি পাকিস্তান থেকে আমাদের ভাগ করে দিয়েছেন। মনিপুরের জয় হোক। পাশাপাশি আমার বাংলা আমি ফেরত চাই।’
এদিকে বাংলাদেশের অস্থিতিশীল পরিস্থিতিকে কারণ দেখিয়ে অনির্দিষ্টকালের জন্য ভারতীয় ভিসা আবেদন কেন্দ্র (আইভিএসি) বন্ধ রাখেছে দেশটি।
এর আগে বাংলাদেশের ছয় ছাত্রনেতার ওপর ভারত ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ করা হয়। সেখানে বলা হয়, ভারতবিরোধী জনতাকে উসকে দেওয়া ও ভারতের জাতীয় স্বার্থবিরোধী কর্মকাণ্ডে যুক্ত থাকার অভিযোগে এমন পদক্ষেপ নিয়েছে ভারত। তবে ভারতীয় বার্তাসংস্থা পিটিআইয়ের বরাত দিয়ে দেশটির সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডে খবরটি সঠিক নয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ছয় বাংলাদেশি ছাত্র নেতার ওপর ভারত ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে বলে বিভিন্ন মিডিয়ায় প্রকাশিত প্রতিবেদনটি ‘ভুয়া খবর’।