ঢাকা
২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
রাত ১:৪৭
logo
প্রকাশিত : জুলাই ১৫, ২০২৪

মায়ানমারে চলছে বোমা হামলা, সীমান্তে এতো কড়াকড়িতেও রোহিঙ্গার অনুপ্রবেশ

জসিম সিদ্দিকী, কক্সবাজার প্রতিনিধি: মিয়ানমারে সংঘর্ষের জের ধরে সীমান্তে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ কড়াকড়ি করেছে বিজিবি ও কোস্টগার্ড। তারপরও ক্যাম্পে পাওয়া গেল নতুন অনুপ্রবেশকারী রোহিঙ্গা। যারা এক সপ্তাহ আগে রাখাইন থেকে বাংলাদেশে ঢুকেছেন। তারা বলছেন, মিয়ানমারে আরাকান আর্মির নির্যাতনের শিকার হয়ে পালিয়ে বাংলাদেশে আসতে বাধ্য হচ্ছেন।

যদিও টেকনাফ সীমান্তে এখন সুনসান নীরবতা। শুধু স্থানীয় বাসিন্দারা যাওয়া আসা চোখে পড়ে গুটি কয়েক। সীমান্তের ওপারে মিয়ানমারে স্পষ্ট দেখা যায় ধোঁয়ার কুণ্ডলী।

এরই মাঝে সীমান্তে এবং নাফনদীতে নিয়মিত টহল দিয়ে যাচ্ছে বিজিবি। উদ্দেশ্য রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ, মাদক রোধ এবং অবৈধ অস্ত্রধারীদের অনুপ্রবেশ ঠেকানো।

এরপরও ঠেকানো যাচ্ছে না রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ। সপ্তাহ খানেক আগে শাহ পরীর দ্বীপ দিয়ে পরিবারের ৮ সদস্য নিয়ে বাংলাদেশে এসেছেন আব্দুর রশিদ। উঠেছেন রোহিঙ্গা ক্যাম্পে খালার বাসায়। রশিদ জানান, তার পরিবারের একজনকে মেরে ফেলেছে আরাকান আর্মি। দুই দেশের দালালের মাধ্যমে তারা রাতের বেলা অনুপ্রবেশ করেছেন। এজন্য দিতে হয়েছে কয়েক লাখ বার্মিজ মুদ্রা। রশিদের মতোই পরিবারের ছয়জন নিয়ে বাংলাদেশে ঢুকেছেন আরেক রোহিঙ্গা মোহাম্মদ সাজেদ। তিনি এসেছেন, দালালের মাধ্যমে।

স্থানীয় সূত্রগুলোর দাবি, টেকনাফ থেকে বান্দরবান পর্যন্ত সীমান্তের ১৬টি পয়েন্ট দিয়ে বাংলাদেশে আসে রোহিঙ্গারা। এই কাজে জড়িত রয়েছে ২০ জনের একটি দালাল চক্র।

আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) মুখপাত্র আমির জাফর বলেন, রোহিঙ্গা প্রবেশের কোনো তথ্য তাদের কাছে নেই। এটা বিজিবি বা কোস্টগার্ডের ভালো জানার কথা।

এদিকে মিয়ানমারের রাখাইন প্রদেশে দেশটির বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি ও সরকারি বাহিনীর মধ্যে সংঘাত অব্যাহত রয়েছে। সোমবার (১৫ জুলাই) সন্ধ্যা পর্যন্ত গোলাগুলি, মর্টারশেল নিক্ষেপ ও বোমা হামলার শব্দে ফের কেঁপে উঠছে সীমান্তের এপারের কয়েকটি গ্রাম। ভারী অস্ত্রের বিকট শব্দে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে বলে জানিয়েছেন টেকনাফের সাবরাং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুর হোসেন।

সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান বলেন, মায়ানমারের অভ্যন্তরে তাদের গৃহযুদ্ধ তীব্র আকারে চলছে। কয়েকদিন ধরে মিয়ানমারে বিমান থেকে বোমা হামলা চলছে।

টেকনাফ হ্নীলা এলাকার ছৈয়দ আলম বলেন, দেশটির বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি ও সরকারি বাহিনীর মধ্যে সংঘাত অব্যাহত রয়েছে। জান্তা সরকারের অনেক সদস্য ঠিকতে না পেরে বাংলাদেশে পালিয়ে আসছে। কিন্তু বিজিবি ও কোস্টগার্ড সতর্ক অবস্থানে আছে।

logo
প্রকাশকঃ অধ্যাপক ড. জোবায়ের আলম
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদকঃ তাপস রায় সরকার
মোবাইল: +৮৮০ ১৭৩৬ ৭৮৬৯১৫
কার্যালয় : বিটিটিসি বিল্ডিং (লেভেল:০৩), ২৭০/বি, তেজগাঁও (আই/এ), ঢাকা-১২০৮
মোবাইল: +880 2-8878026, +880 1736 786915, +880 1300 126 624
ইমেইল: tbtbangla@gmail.com (online), ads@thebangladeshtoday.com (adv) newsbangla@thebangladeshtoday.com (Print)
বাংলাদেশ টুডে কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি ও বিষয়বস্তু অন্য কোথাও প্রকাশ করা বে-আইনী।
Copyright © 2024 The Bangladesh Today. All Rights Reserved.
Host by
linkedin facebook pinterest youtube rss twitter instagram facebook-blank rss-blank linkedin-blank pinterest youtube twitter instagram