কোটা সংস্কার আন্দোলন একদফা রূপ নিলে গত ৫ আগস্ট পদত্যাগ করে দেশ ছাড়েন শেখ হাসিনা। তার দেশত্যাগের প্রায় চার দিন পর বৃহস্পতিবার রাতে শপথ নেয় অন্তর্বর্তী সরকার।
ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত অন্তর্বর্তী সরকারকে স্বাগত জানিয়েছে চীন। বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করে বেইজিং জানিয়েছে, পারস্পরিক বিনিময় ও সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে। চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র এক বিবৃতিতে এ কথা জানিয়েছেন।
চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেছেন, ‘চীন দেখতে পেয়েছে যে, বাংলাদেশ একটি অন্তর্বর্তী সরকার গঠন করেছে এবং আমরা একে স্বাগত জানাই। চীন কঠোরভাবে অন্য দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ না করার নীতি অনুসরণ করে। আমরা বাংলাদেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব এবং আঞ্চলিক অখণ্ডতা এবং বাংলাদেশি জনগণের স্বাধীনভাবে নির্বাচিত উন্নয়নের পথকে সম্মান করি।
চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আরও বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশের সব মানুষের সঙ্গে ভালো প্রতিবেশী ও বন্ধুত্বের নীতিতে দৃঢ়ভাবে অটল আছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘চীন ও বাংলাদেশের মধ্যে বন্ধুত্ব দীর্ঘ ও গভীর। চীন বাংলাদেশের সঙ্গে তার সম্পর্ককে মূল্য দেয় এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রে দ্বিপক্ষীয় আদান-প্রদান ও সহযোগিতা বৃদ্ধি করতে এবং আমাদের ব্যাপক কৌশলগত সহযোগিতামূলক অংশীদারত্বকে আরও এগিয়ে নিতে বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত।’