মো: সাগর মল্লিক, ফকিরহাট (বাগেরহাট) প্রতিনিধি: বাগেরহাটের ফকিরহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে বিপুল পরিমান সরকারি মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ উদ্ধার করেছে শিক্ষার্থীরা। সোমবার দুপুর একটার দিকে হাসপাতালের ফার্মেসী থেকে এ ওষুধ উদ্ধার করা হয়।
উপজেলার একমাত্র পঞ্চাশ শয্যার এই হাসপাতাল থেকে উদ্ধার হওয়া ওষুধের মধ্যে অমিপ্রাজল, ইসমিপ্রাজল, প্যারাসিটামল, অ্যান্টিবায়োটিকসহ অনেক দামী ওষুধ ছিল। উদ্ধার হওয়া ওষুধের মধ্যে ২০২১ সাল থেকে ২০২৪ সালে মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ রয়েছে। এত পরিমান ওষুধ গরিব রোগীদের সরবরাহ না করায় এবং সেগুলো মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ায় শিক্ষার্থীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
ওষুধ উদ্ধার কাজে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থী রিমা, সালমান সহ অনেকে জানায়, আমরা রোগীদের কাছে শুনেছি তাদের ফার্মেসী থেকে ওষুধ সরবরাহ করা হয় না। ডাক্তারদের দেওয়া স্লীপের বিপরীতে ওষুধ সাপ্লাই নাই বলে রোগীদের স্লীপ রেখে দেয়। সাপ্লাই না থাকলে এত মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ আসলো কিভাবে?
ফার্মাসিস্ট সুমন কুমার বিশ্বাস উদ্ধার হওয়া ওষুধগুলো কারোনা কালীন বলে দাবী করেন। তবে উদ্ধার হওয়া ওষুধ সাধারণ রোগের এবং এসব মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ এতদিনে ধ্বংস না করে রোগীদের মধ্যে বিতরণ করা ওষুধের কক্ষে কেন রাখা হয়েছে প্রশ্ন করলে সদুত্তর দিতে পারেননি।
এ বিষয়ে ফকিরহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পপ কর্মকর্তা আবু সাদাত মো. মফিদুল ইসলাম বলেন, ফার্মাসিস্টকে নিয়মিত ওষুধ হালনাগাত করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল। কিন্ত তা না করায় দায়িত্বে অবহেলার জন্য কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে। ওষুধ গুলো ধ্বংসের পাশাপাশি পরবর্তীতে এ বিষয়ে আরও সতর্ক হওয়ার কথা জানান তিনি।