বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে বিক্ষোভকারীদের গুলি করে হত্যা করা সম্পর্কে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মো.আছাদুজ্জামান খান কামালকে জানাচ্ছিলেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের সদস্য ইকবাল। সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে একটি ভিডিও দেখিয়ে ইকবাল নামের এক পুলিশ কর্মকর্তা বলছিলেন, ’গুলি করে করে লাশ নামানো লাগছে স্যার। গুলি করলে মরে একটা কিংবা আহত হয় একটা। একটাই যায় স্যার, বাকিডি যায় না। এইটা হলো স্যার সবচেয়ে বড় আতঙ্কের এবং দুশ্চিন্তার বিষয়।’ এই কথার মাধ্যমে তিনি বোঝানোর চেষ্টা করছিলেন যে, বিক্ষোভকারীদের গুলি করেও রাজপথ থেকে বিতাড়িত করা যাচ্ছে না। একজন মারা গেলেও কিংবা অন্যজন গুলিবিদ্ধ হয়ে পড়ে গেলেও সাহস নিয়ে প্রতিরোধ গড়ে তুলছে বাকিরা ।
এমন একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে গেছে। ভিডিওতে পুলিশ সদস্যের নেমপ্লেটে নাম দেখা গেছে ইকবাল। সেখানে ৪৩ সেকেন্ডের ভিডিও ক্লিপে দেখা গেছে, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামানকে ঘিরে দাঁড়িয়ে আছেন কয়েকজন পুলিশ কর্মকর্তা। তাদের সামনে ইকবাল সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে মোবাইল ফোন থেকে একটি ভিডিও দেখাচ্ছেন। জুলাইয়ের মাঝামাঝি থেকে আগস্টের ৪ তারিখ পর্যন্ত কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে বিক্ষোভকারীদের ওপর আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নির্বিচারে গুলি চালায়। ভিডিওতে পুলিশ কর্মকর্তার কথা শুনে বোঝা যায়, বিক্ষোভকারীদের ওপর পুলিশের গুলিতে হতাহতদের একটি ভিডিও আসাদুজ্জামানকে দেখানো হচ্ছে।
ভিডিও ক্লিপটি সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের কাঁধের পেছন থেকে মোবাইল ফোন থেকে ধারণ করা হয়েছে। আন্দোলনকারীদের পুলিশ গুলি করেও দমাতে পারছে না বলে জানান পুলিশ কর্মকর্তা ইকবাল। সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নির্বিকারভাবে মনোযোগ দিয়ে ভিডিওটি দেখেন। গুলি ও হতাহতের দৃশ্য দেখে তার চেহারায় কোনো প্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি।