এস এম আকাশ, ব্যুরো প্রধান, চট্টগ্রাম: বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে কেন্দ্র করে দীর্ঘ ২৮ দিন বন্ধ থাকার পর চট্টগ্রামসহ সারাদেশে আন্তঃনগর এবং গোধুলি এক্সপ্রেসসহ সব ধরনের ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৫ আগস্ট) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পূর্বাঞ্চলের বিভাগীয় রেলওয়ে ম্যানেজার প্রকৌশলী মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম। এর আগে গত ১৩ আগস্ট থেকে শুরু হয় মেইল, এক্সপ্রেস, লোকাল ও কমিউটার ট্রেন চলাচল। তার আগে ১২ আগস্ট মালবাহী ট্রেন চলাচল শুরু হয়।
১৮ জুলাই থেকে ট্রেন চলাচল স্থগিত থাকায় যে সকল ট্রেন সম্পূর্ণ চলাচল করেনি সে সকল ট্রেনের টিকিটের টাকা যাত্রীদের ফেরত দিচ্ছে রেল কর্তৃপক্ষ। রেলওয়ের পক্ষ থেকে বৃহস্পতিবার জানানো হয়, ১৫ আগস্ট সকাল থেকে ট্রেনের টিকিটের টাকা ফেরত দেওয়া হচ্ছে। আজ থেকে আগামী ১০দিন টাকা ফেরত পেতে রিফান্ড রিকোয়েস্ট সাবমিট করা যাবে। যারা ইন্টারনেটের মাধ্যমে টিকিট কিনেছেন তারা ইন্টারনেটের মাধ্যমে এবং যারা স্টেশনের কাউন্টার থেকে কিনেছেন তারা কাউন্টারের মাধ্যমে ক্রয়কৃত টিকিটের টাকা রিফান্ড করতে পারবেন।
বাংলাদেশ রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলের তথ্য অনুযায়ী, দেশব্যাপী ছাত্র আন্দোলন চলাকালীন গত ১৯ জুলাই থেকে গত ৫ আগস্ট পর্যন্ত আন্তঃনগর ট্রেনের কোচে অগ্নিসংযোগ, কোচের দরজা ও জানালার গ্লাস ভেঙে ফেলার ঘটনা ঘটে। ক্ষতিগ্রস্ত কোচগুলো বেজ স্টেশন এবং পাহাড়তলী শেডে পাঠিয়ে মেরামতের প্রস্তুতি চলছে।
আন্দোলনের মধ্যে গত ১৬ জুলাই ঢাকা, গাজীপুর, চট্টগ্রাম,ফেনী ও ময়মনসিংহ, রংপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় রেলপথ অবরোধ করা হয়। তাতে কয়েক ঘণ্টার জন্য ট্রেন চলাচলে বিঘ্ন ঘটে। পরের দিন ট্রেন চলাচল অনেকটাই স্বাভাবিক ছিল। আন্দোলন সংঘাতে রূপ নিলে ১৮ জুলাই ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এরপর স্বল্প দূরত্বে মেইল, লোকাল ও কমিউটার ট্রেন চালু করা হয়েছিল। ৪ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষ থেকে দেশব্যাপী অসহযোগ আন্দোলনের ঘোষণা দিলে অনির্দিষ্টকালের জন্য রেল চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়।