চুয়াডাঙ্গায় আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে নিয়োগ পাওয়া ৫৯ স্বাস্থ্যকর্মীর নিয়োগ বাতিল করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৫ আগস্ট) জেলার সিভিল সার্জন ডা. সাজ্জাৎ হাসান স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে বিষয়টি জানানো হয়।
চিঠিতে বলা হয়, আউটসোর্সিংয়ে নিয়োগকৃত জনবল বিশেষ কারণে বাতিল করা হলো।
নিয়োগ বাতিলের খবরে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল, সিভিল সার্জনের কার্যালয়, আলমডাঙ্গা, দামুড়হুদা ও জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মরত মোট ৫৯ জন স্বাস্থ্যকর্মী দুশ্চিন্তায় পড়েছেন।
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের স্বাস্থ্যকর্মী লতিফা বলেন, নিয়োগ বাতিলের কথা শুনে দুশ্চিন্তায় পড়েছি। এখন কী করব আমরা ভেবে পাচ্ছি না। বিষয়টি যেন দ্রুত সুরাহা হয় এই দাবি জানাই।
গভীর চিন্তার রেখা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের পরিচ্ছন্নকর্মী ইকবালের কপালেও।
তিনি বলেন, ৪ মাস হলো নিয়োগ পেয়েছি। সকালে হঠাৎ করেই শুনি নিয়োগ বাতিল হয়ে গেছে। কী কারণে বাতিল হয়েছে এটা জানি না। রোববার (১৮ আগস্ট) অফিস খুললে আমরা সবাই সিভিল সার্জনের কাছে নিয়োগ বাতিলের কারণ জানতে চাইব।
এ বিষয়ে কথা হয় গ্যালেন্স সিকিউরিটি সার্ভিস লিমিটেডের ব্যবস্থাপক মো. আব্দুল্লাহ আল হিল বাপ্পীর সঙ্গে।
তিনি বলেন, চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালসহ তিন উপজেলায় মোট ৫৯ জন স্বাস্থ্যকর্মী আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে নিয়োগপ্রাপ্ত হয়ে কর্মরত আছেন। গত ৩০ জুন নিয়োগের মেয়াদোত্তীর্ণ হয়েছে। এখনও মেয়াদ বাড়ানোর অনুমোদন হয়নি।
আব্দুল্লাহ আল হিল বাপ্পী আরও বলেন, জেলার সিভিল সার্জনের হাতে সবকিছু। তিনি ইচ্ছা করলে নিয়োগ বাতিল করতে পারেন। তবে বাতিল সংক্রান্ত কোনো চিঠি এখনও আমি পাইনি।
বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে সিভিল সার্জন ডা. মো. সাজ্জাৎ হাসানের সরকারি নম্বরে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।