সাবেক ডেপুটি স্পিকার ও পাবনা-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শামসুল হক টুকুর বিরুদ্ধে তাঁর নিজ এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে অবৈধ সম্পদের পাহাড় গড়ে তোলার অভিযোগ উঠেছে। সম্প্রতি আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে আটক টুকুর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে ভুক্তভোগীরা।
অভিযোগ রয়েছে, শামসুল হক টুকুর বাড়ির সামনে ইছামতী নদী দখল করে বালি দিয়ে ভরাট করে সুইমিংপুল বানাচ্ছিলেন। তিনি দখলে নিয়েছিলেন বেড়া বৃশালিখা কোল ঘাট (নৌবন্দর)।
জানা গেছে, বেড়ার পোর্ট এলাকায় থানার পাশে হুড়াসাগর নদী থেকে কোটি কোটি টাকার বালু উত্তোলন এবং হুড়াসাগর নদীর পাশে প্রায় দুই একর জায়গা দখল করে বালু উত্তোলন করে রেখেছেন টুকু ও তাঁর পরিবার। টুকুর বিরুদ্ধে নির্বাচন করায় প্রতিপক্ষকে মিথ্যা মামলা, দোকান দখল, বাড়ি ভাঙচুরসহ পুলিশ দিয়ে হয়রানির অভিযোগ রয়েছে।
বেড়া ট্রান্সপোর্টের প্রোপ্রাইটর নজরুল ইসলাম বলেন, ‘শামসুল হক টুকু আমার নামে ইজারাপ্রাপ্ত বৃশালিখা কোলঘাট (নৌবন্দর) জোর করে দখল নিয়ে কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। গত ৫ আগস্ট সরকার পতনের পরদিন ৬ আগস্ট আমি এই ঘাট ফেরত পাই।
ক্ষমতায় থাকতে বৃশালিখা কোলঘাটে আমার অফিস ভাঙচুর ও লুটপাট করেছিলেন টুকু ও তাঁর ছেলে রঞ্জনের সন্ত্রাসী বাহিনী।’
বেড়া পৌরসভার ৫ ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর ও প্যানেল মেয়র-১ এনামুল হক শামিম বলেন, ‘২০ লাখ টাকার বালুর খামাল জোর করে দখলে নিয়ে বিক্রি করেছেন টুকু ও তাঁর ছেলে। প্রতিবাদ করায় মিথ্যা মামলা দিয়ে বাড়িছাড়া করেছেন।’
বেড়া পৌর এলাকার মান্নান মোল্লা বলেন, ‘টুকুর বিরুদ্ধে জাতীয় নির্বাচনে কাজ করায় টুকুর সন্ত্রাসী বাহিনী আমার ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে হামলা, ভাঙচুর ও আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করেছে
এ ছাড়া টুকু হুড়াসাগর নদী থেকে কোটি কোটি টাকার বালু উত্তোলন ও নদীর জায়গা দখল করে বালু রেখেছেন এবং আমাদের সেনাবাহিনী থেকে ক্রয় করা বালু জোর করে নিয়ে গেছেন।