ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) সাবেক কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়ার ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁস করার অভিযোগে গাজীপুর মহানগর পুলিশের (জিএমপি) অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (এডিসি) জিসানুল হকের সাময়িক বরখাস্তের আদেশ প্রত্যাহার করা হয়েছে।
সোমবার (১৯ আগস্ট) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ আবদুল মোমেন সই করা এক প্রজ্ঞাপনে বিষয়টি জানানো হয়।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশশের সাবেক অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার জিসানুল হককে চাকরি থেকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করার আদেশটি বাংলাদেশ সার্ভিস রুলস মোতাবেক প্রত্যাহার করা হলো।
এতে আরও বলা হয়েছে, তিনি বরখাস্ত থাকার সময়টা কাজে ছিলেন বলেই গণ্য হবে। বিধি অনুযায়ী বকেয়া বেতন পাবেন।
এর আগে গত ১৯ জুন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগে পাঠানো এক চিঠিতে জিসানুল হককে সাময়িক বরখাস্ত করার সুপারিশ করে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স।
এ বিষয়ে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মাহবুব আলম গণমাধ্যমে বলেন, রাষ্ট্রপতির অদেশ অনুযায়ী তার বরখাস্ত আদেশ প্রত্যাহার করা হয়েছে। মঙ্গলবার তার কাজে যোগ দেয়ার কথা।
উল্লেখ্য, জুন মাসে ডিএমপির সাবেক কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়াকে নিয়ে ফেসবুকে একটি পোস্ট পাওয়া যায়। সেখানে আছাদুজ্জামান মিয়ার ‘ইএসএএফ’ ছড়িয়ে পড়ে। ইএসএএফ হলো, ইলেকট্রনিক সাবস্ক্রাইবার অ্যাপ্লিকেশন ফরম, যা মূলত মুঠোফোন গ্রাহকেরা পূরণ করে থাকেন। এই ফরমে একজন ফোন গ্রাহকের নাম, ঠিকানা, জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর, আঙুলের ছাপসহ বিস্তারিত তথ্য থাকে। এ তথ্য কীভাবে অনলাইনে গেল, সেটি নিয়ে তদন্ত করে পুলিশ।
সংশ্লিষ্ট পুলিশ সূত্রে জানা যায়, তদন্তে বেরিয়ে আসে গাজীপুর মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার পদের এক কর্মকর্তা গত ১৩ ফেব্রুয়ারি আছাদুজ্জামান মিয়ার তথ্য চেয়ে বৈধ আড়ি পাতা শাখার এক এসআইকে হোয়াটসঅ্যাপে বার্তা দেন। সেই বার্তার ভিত্তিতে তিনি অন্য একজন এএসআইকে সেটা ডাউনলোড করতে বলেন। পরে সেটা ওই কর্মকর্তাকে দেয়া হয়।