সুপ্রিম কোর্টের সাবেক বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিকের বাড়িভাড়া, গ্যাস ও পানির বিল বাবদ সরকারের পাওনা ১৪ লাখ ১৯ হাজার ২০০ টাকা পরিশোধ না করার অভিযোগ অনুসন্ধান করতে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
বুধবার (২১ আগস্ট) সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মুহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) এই আবেদন করেন।
আবেদনে বলা হয়, বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক মেয়াদ শেষ হওয়ার পরও সরকারি বাড়ির ভাড়া এবং পরিষেবা বিল পরিশোধ না করে রাষ্ট্রীয় কোষাগারের অর্থ আত্মসাৎ করেছেন, যা সুস্পষ্ট দুর্নীতি। দুদক আইনের ২০০৪ এর ১৭(গ) ধারা অনুসারে এ ধরনের দুর্নীতি অনিয়ম অনুসন্ধান করতে পারে। যার প্রেক্ষিতে আইনজীবী দুদক বরাবার আবেদন করেন।
আইনজীবী মুহাম্মদ সাজ্জাদ জানান, দুদক আবেদন নিষ্পত্তি না করলে হাইকোর্টের রিট করবেন।
পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, রাজধানীর গুলশানে ৩৫ নম্বর সড়কে একটি সরকারি বাড়িতে ভাড়া থাকতেন বিচারপতি মানিক। ২০১২ সালের নভেম্বরে ওই বাসায় ওঠেন তিনি। অবসরের পর যেটি ২০১৬ সালের এপ্রিলে ছাড়ার কথা ছিল। তবে বাড়িটিতে আরও দুই বছর থাকবেন বলে জানিয়ে সরকারি আবাসন পরিদপ্তরকে চিঠি দেন তিনি, তবে আবাসন পরিদপ্তর তাকে ছয় মাস থাকার অনুমতি দেয়। তবুও এক বছরের বেশি সময় ওই বাড়িটি দখলে রেখেছিলেন তিনি।
গণপূর্ত মন্ত্রণালয় বাড়িটি ছাড়ার জন্য বারবার তাগাদা দিলে অবশেষে ২০১৭ সালের মে মাসে বাড়িটি ছাড়েন তিনি। তবে ওই বাড়িটি ছাড়লেও বাড়িভাড়া, গ্যাস ও পানির বিল বাবদ সরকারের পাওনা ১৪ লাখ ১৯ হাজার ২০০ টাকা তিনি এখনও পরিশোধ করেননি বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক। ওই আবাসন পরিদপ্তরের চিঠির জবাবে শামসুদ্দিন চৌধুরী বলেছিলেন, অবসরে যাওয়ার পর বিচারপতিরা ১২ মাস বিনা ভাড়ায় সরকারি বাসায় বসবাস করতে পারেন। তবে পরিদপ্তর থেকে জানানো হয়, বিচারপতিরা অবসরে যাওয়ার পর এক বছর বিনা ভাড়ায় থাকতে পারার সরকারি কোনো আদেশ, নির্দেশ বা পরিপত্র নেই।