ভারি বর্ষণ ও উজান থেকে আসা ঢলের পানিতে দেশের আট জেলা বন্যাকবলিত হয়েছে। এই জেলাগুলোর প্রায় সব নদ-নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বিভিন্ন স্থানে সড়কে ভাঙন ও পানি ওঠায় যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। কোনো কোনো জেলায় বন্যা পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে।
বাড়ছে পানি, ডুবছে মানুষ। বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যা। এ অবস্থায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। এরমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে বন্যা কবলিত একটি শিশুর ছবি।
ওই ছবিতে দেখা যাচ্ছে চারদিকে উন্মত্ত জলরাশি, তার মাঝে আটকে আছে একটি শিশু। বড় বড় দুটি চোখে অবাক বিস্ময়! মধ্যরাতে ছড়িয়ে পড়া নিষ্পাপ শিশুটির ছবি ঘুম কেড়ে নিয়েছে সাধারন মানুষ থেকে শোবিজ অঙ্গনের তারকাদেরও। সামাজিক মাধ্যমে নিজেদের কষ্টের অনুভূতি শেয়ার করেছেন তারকারা। ছবিটি নিজের ফেসবুকে প্রকাশ করে পরীমণি লিখেছেন, ‘আল্লাহ! কী করবো আমি! বুকের ভেতর দুমড়ে মুচড়ে যাচ্ছে।
এই চোখের দিকে তাকিয়ে কি করে ঘুমাব!’ বন্যা কবলিতদের পাশে দাঁড়ানোর ইচ্ছা প্রকাশ করে নায়িকা লিখেছেন, ‘আল্লাহ তুমি সহায় হও। কেউ নাই আর এখন। আমি যাব। আমার সর্বোচ্চ চেষ্টা দিয়ে যা করার করবো ইনশাআল্লাহ।’অস্ট্রেলিয়ায় বসে দেশের দুরবস্থায় ব্যথিত সুপারস্টার শাবনূর।
শিশুটির ছবি প্রকাশ করে লিখেছেন, ‘আল্লাহ, দেশের মানুষগুলোকে রক্ষা করো!’ অবুঝ ওই শিশুর ছবি প্রকাশ করে পূজা চেরী সরাসরি স্রষ্টার উদ্দেশে প্রশ্ন তুলেছেন। তিনি লিখেছেন, ‘এই অবুঝ চাহনি। হে ঈশ্বর তুমি কি দেখছ না?’
চিত্রনায়ক জায়েদ খানের ভেতরও হু হু করে উঠেছে নিষ্পাপ শিশুটির মুখ দেখে। তিনি লিখেছেন, ‘কোনোভাবেই সহ্য করার মতো না। এটা দেখার পর মানুষ কীভাবে থাকে। বুকের ভেতরটা কাঁদছে যতবার দেখছি। আল্লাহ আপনি এই মাছূম বাচ্চার মুখের দিকে তাকিয়ে সকল বন্যাবাসী মানুষদের হেফাজত করেন।’
অভিনেত্রী মৌসুমী নাগ কিছু লিখতে পারেননি অসহায় বিপদগ্রস্ত মুখটির দিকে তাকিয়ে। তার কীবোর্ড চিরে বেরিয়েছে আর্তনাদ। তিনি লিখেছেন, ‘ আহারে আহারে…।’
গানবাংলার কর্ণধার ও সংগীতশিল্পী তাপস লিখেছেন, ‘হে মহান আল্লাহ, আপনি পরম দয়ালু , আপনার নিষ্পাপ বান্দাদের প্রতি রহম করুন, সাহায্য করুন, একমাত্র আপনিই পারেন বাঁচাতে।’
ভারত থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও কয়েক দিনের ভারী বৃষ্টিতে মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, কুমিল্লা, ফেনী, নোয়াখালী, খাগড়াছড়ি ও চট্টগ্রামের কয়েকটি উপজেলা প্লাবিত হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) সকালে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত এসব জেলায় বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। বৃষ্টিও অব্যাহত আছে। আবহাওয়া অফিস আরও ৪৮ ঘণ্টা বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে।