ছাত্রলীগের সাবেক কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক ইসহাক আলী খান পান্না সিলেট সীমান্ত দিয়ে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার সময় মারা গেছেন বলে খবর পাওয়া গেছে। তবে তাঁর মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করছে না কেউ। তবে বেশির ভাগ সূত্র মতে শুক্রবার মধ্যরাতে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার সময় মেঘালয়ের শিলং পাহাড়ে উঠতে গিয়ে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। শনিবার রাত সাড়ে ১১টা পর্যন্ত তাঁর মৃত্যুর বিষয়ে কোনো কর্তৃপক্ষের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
পান্নার ঘনিষ্ঠজন নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানিয়েছেন, ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকে আত্মগোপনে ছিলেন পান্না। ভারতে পালিয়ে যেতে তিনি সিলেটে আসেন। সীমান্ত পাড়ি দিয়ে গত শুক্রবার রাত ১২টায় মেঘালয়ের রাজধানী শিলংয়ের একটি পাহাড়ে ওঠার সময় তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হন। সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে।
তবে পান্নার মৃত্যু নিয়ে ভিন্ন ভিন্ন তথ্য মিলছে। কেউ বলছেন, পাহাড়ে ওঠার সময় পা পিছলে পড়ে তিনি মারা গেছেন। কেউ বলছেন, গণপিটুনিতে, আবার কেউ বলছেন বিএসএফের গুলিতে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। পান্না ঠিক কিভাবে মারা গেছেন এ বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া না গেলেও মৃত অবস্থায় তাঁকে পড়ে থাকার একটি ছবি এই প্রতিবেদকের কাছে এসেছে।
সেখানে দেখা যাচ্ছে, তাঁর পরনে কালো জিন্স প্যান্ট ও কালো টি-শার্ট। পায়ের গোড়ালির কাছে রক্তের দাগ। বাঁকানো মুখ দেখে মনে হচ্ছে, তিনি হূদরোগে আক্রান্ত হয়ে থাকতে পারেন।
রাত সাড়ে ১১টায় গোয়াইনঘাট থানার ওসি মো. শাহ হারুন অর রশিদ বলেন, ‘এ রকম খবর আমিও শুনেছি। তবে মেঘালয় বলা হলেও আমাদের থানা এলাকা দিয়ে তিনি যাননি সম্ভবত।
কানাইঘাট দিয়ে গিয়ে থাকতে পারেন।’ইসহাক আলী খান পান্না ১৯৯৪ সালে ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি পিরোজপুর জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ছিলেন। ২০০৮ সালে তিনি পিরোজপুর-২ আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পান, তবে পরে দলীয় জোটের কারণে তাঁকে সরে যেতে হয়। পেশাগত জীবনে তিনি ডায়মন্ড লাইফ ইনস্যুরেন্স কম্পানির চেয়ারম্যান ছিলেন।