এক মাসের বেশি সময় বন্ধ থাকার পর মেট্রোরেল চালু হওয়ায় স্বস্তি প্রকাশ করেছেন যাত্রীরা। এখন নির্ধারিত সময়েই গন্তব্যে যাত্রা করতে পারছেন তারা। তবে মেট্রোরেলের নিচের সড়কে আগের মতোই তীব্র যানজট রয়েছে। যানজটের দুর্ভোগে নতুন মাত্রা যোগ করেছে সড়ক বন্ধ করে কয়েকটি পক্ষের দাবি-দাওয়ার আন্দোলন।
মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ জানায়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে মিরপুর-১০ নম্বর ও কাজিপাড়া স্টেশন ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এ দুটি স্টেশন চালু হতে সময় লাগবে। তাই এ দুটি স্টেশন বাদ দিয়ে বাকি স্টেশনগুলোতে আজ রোববার (২৫ আগস্ট) সকাল ৭টা ১০ মিনিট থেকে যাত্রী পরিবহন শুরু করে মেট্রোরেল।
সকাল ১০টায় উত্তরা উত্তর স্টেশন থেকে মেট্রোরেলে করে সচিবালয় স্টেশনে যান আমির উদ্দিন। মেট্রোরেল থেকে নেমে তিনি বলেন, গত বছর মেট্রোরেল চালু হওয়ার পর এই গণপরিবহনে যাতায়াতে অভ্যস্ত হয়ে গেছিলাম। মাঝে ৩৭ দিন মেট্রোরেল বন্ধ থাকায় যানজটে চরম ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে। ২৫ মিনিটের রাস্তা যাতায়াতে দেড় থেকে দুই ঘণ্টা লেগেছে।
তিনি বলেন, আজ মেট্রোরেল চালু হওয়ায় যাত্রীদের মধ্যে খুবই আনন্দ কাজ করছে। সবার একটাই চাওয়া, মেট্রো চলাচল যাতে আর বন্ধ না হয়।
বেলা ১১টায় সচিবালয় স্টেশন থেকে মিরপুর ১১ নম্বর স্টেশনের উদ্দেশ্যে মেট্রোরেলে যাত্রা করেন হাবিব হাসান। মেট্রোতে ওঠার আগে তিনি বলেন, সকালে তিনি মিরপুর থেকে একটা কাজে পল্টনে যান। কাজ শেষ করে আবার মেট্রোতে ওঠেন। আজ যাতায়াত খুবই স্বস্তির ছিল।
তবে মেট্রোরেলে যাতায়াতে স্বস্তি থাকলেও ঢাকার প্রায় সব সড়কে সকাল থেকে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়েছে। এর মধ্যে মহাখালী থেকে কাকরাইল, কাজী নজরুল ইসলাম অ্যাভিনিউ, মিরপুর রোডে যানজট বেশি ছিল।
আর বিভিন্ন দাবি আদায়ে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনের সড়ক অবরোধ করেছেন আন্দোলনকারীরা। এতে আশপাশের সব সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়েছে। যানজট পৌঁছেছে চরম মাত্রায়।
শাহবাগ থেকে হেঁটে পল্টন যাচ্ছিলেন আলতাব হোসেন। তিনি বলেন, প্রেস ক্লাবে রাস্তা বন্ধ করে সমাবেশ করায় শাহবাগে বাসে এক ঘণ্টা বসে ছিলাম। পরে বিরক্ত হয়ে বাস থেকে নেমে হাঁটা শুরু করি। দাবি আদায়ের নামে সড়ক বন্ধ করে রাখার কোনো যৌক্তিকতা নেই।