গাজীপুর প্রতিনিধি: টঙ্গী পপুলার ওষুধ কারখানার শ্রমিকরা ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে টঙ্গী কলেজ গেটের সামনে। রবিবার টঙ্গী চেরাগআলী তিস্তা গেট এলাকায় কারখানাটির প্রধান ফটকের সামনে ১৯ দফা দাবিতে বিক্ষোভ শুরু করে মিছিল নিয়ে মহাসড়কে চলে আসে শ্রমিকরা। প্রায় আড়াই হাজার শ্রমিক কারখানার সামনের সড়কে অবস্থান নেয় প্রথমে। পরে তারা মিছিল নিয়ে ঢাকা ময়মনসিংহ মহাসড়কে চেরাগআলী এলাকায় চলে আসে। পরে তারা মিছিল নিয়ে টঙ্গী কলেজগেট এলাকার মহাসড়কে অবস্থান নেয়। ঘন্টাখানেক মহাসড়কে অবস্থান নেয়ায় ঢাকা ও গাজীপুরের দিকে প্রচড যানজটের সৃষ্টি হয়। এসময় একদল ছাত্র উপস্থিত হয়ে রাস্তা বন্ধের প্রতিবাদ জানালে বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা রাস্তার অবস্থান থেকে সরে যায়।
শ্রমিকদের ১৯ দফা দাবির মধ্যে রয়েছে- সাধারণ কর্মঘণ্টা আট ঘণ্টা নিশ্চিত করা, নির্বাচনের মাধ্যমে শ্রমিক ইউনিয়ন গঠন, অস্থায়ী শ্রমিকদের ছয় মাসের মধ্যে চাকরি স্থায়ীকরণ, স্থায়ী শ্রমিকদের বেতন ২০ হাজার ৫০০ টাকা ও অস্থায়ী শ্রমিকদের হাজিরা বোনাস ও ঈদ বোনাস ৫ হাজার টাকা করা, নৈশকালীন কাজের মজুরি ৫০০ টাকা, প্রতি বছর শেষে উৎপাদন বোনাস প্রদান এবং পরিচালক আবুল কালাম আজাদের পদত্যাগ।
এদিকে বিক্ষুব্ধ শ্রমিকেরা জানান, রবিবার সকালে কারখানাটির প্রায় আড়াই হাজার শ্রমিক কারখানায় কাজে যোগ দিতে আসেন। এ সময় তাঁরা ১৯ দফা দাবি কারখানা কর্তৃপক্ষের কাছে পেশ করেন। কারখানা কর্তৃপক্ষ তাৎক্ষণিক দাবিগুলো মেনে না নেয়ায় তারা বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে। পরে কারখানার সামনের সড়কে অবস্থান নিয়ে স্লোগান দিতে থাকে শ্রমিকেরা।
কারখানাটির মানবসম্পদ বিভাগের কর্মকর্তা আসিফ হাসনাত বলেন, ‘শ্রমিকদের সব দাবি যৌক্তিক নয়। আমরা তাঁদের অধিকাংশ যৌক্তিক দাবি মেনে নিয়েছি। শ্রমিকরা কারখানার সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করে মহাসড়কে নেমেছে। আমরা তাঁদের সঙ্গে কথা বলেছি কয়েকবার।
গাজীপুর শিল্প পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার মোশারফ হোসেন বলেন, শ্রমিকেরা কারখানার সামনের সড়কে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করে ঢাকা মহাসড়কে চলে এসেছে।