গত ৫ অগাস্ট গণ-আন্দোলনের মুখে পদত্যাগ করে ভারতে পালিয়ে যান আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। শীর্ষ নেতারাও অনেকে দেশ ছেড়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। কেউ কেউ ‘দেশ ছাড়ার চেষ্টাকালে’ গ্রেপ্তার হয়েছেন।
প্রতিকূল এই পরিস্থিতিতেও শেখ হাসিনার দেশ ছেড়ে পালানো মেনে নিতে পারছেন না দলের বহু নেতা।
ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার বেশ কয়েকদিন আগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ বিভিন্ন মহলে একটি গুঞ্জন শোনা গিয়েছিল যে, প্রধানমন্ত্রিত্ব ছেড়ে শেখ হাসিনা পলায়ন করেছেন। তখন এর প্রতিক্রিয়ায় আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেছিলেন যে, শেখ হাসিনা পালায় না।
“শেখ হাসিনা পালিয়ে গেছে, শেখ হাসিনা নাই, শেখ হাসিনা চলে গেছে; শেখ হাসিনা পালায় না,” গত ২৪ জুলাই সংবাদ সম্মেলনে বলেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী।
অথচ এ ঘটনার ঠিক ১০ দিন পরে লাখ লাখ মানুষ রাজপথে নেমে আসার পর গত ৫ অগাস্ট দুপুরে আওয়ামী লীগ সভাপতি হেলিকপ্টারে করে ভারতে পালিয়ে যান, যা এখনও মানতে পারছেন না দলটির নেতাকর্মীরা।
বিবিসি বাংলার এক প্রতিবেদনে বিষয়টি তুলে ধরা হয়েছে। সংবাদ মাধ্যমটিকে আওয়ামী লীগের ঢাকা জেলার এক নেতা বলেন, আমি এখনও বিশ্বাস করতে পারি না। আপা পালাইছে, মানতেই কষ্ট হয়।
তিনি আরও বলেন, “শেখ হাসিনাকে যারা চেনেন, জানেন। যারা কাছ থেকে তাকে দেখেছেন, তারা কেউই এটা মানতে পারবে না। কারণ উনি মোটেও পালিয়ে যাওয়ার মানুষ না।”
আওয়ামী লীগ সভাপতি দেশ ছেড়ে না গেলে পরিস্থিতি অন্যরকম হতো বলেও মনে করেন তিনি।
ওই নেতা বলেন, আপা দেশে থাকলে নেতাকর্মীরা মনে বল পেতেন। ফলে দলে অন্তত এখনকার মতো বিপর্যয় দেখতে হতো না।
বিচারের মুখোমুখি হতে হলেও এখন শেখ হাসিনার দেশে ফেরা উচিৎ বলেও মনে করেন তিনি। আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, আমি মনে করি, আপার দ্রুত দেশে ফিরে আসা উচিৎ। উনি দেশের মাটিতে পা রাখলেই দেখবেন নেতাকর্মীরা আবার সব জেগে উঠেছে।
একই কথা বলেছেন তৃণমূলের আরেক নেতা। তিনি বলেন, ক্ষমতা হারানোর পর খালেদা জিয়া ছাড়েননি, এমনকি এরশাদের মতো স্বৈরাচারও পালায়নি। সেখানে নেত্রী কেন দেশ ছাড়লো, সেটাই আমরা এখনও বুঝে উঠতে পারছি না।