দেশের আলোচিত ও বিতর্কিত ব্যবসায়ী মোহাম্মদ সাইফুল আলমের (এস আলম) ব্যক্তিগত ব্যাংক হিসেবে মাত্র সাড়ে ৫ লাখ টাকা পেয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।
তবে তার স্বার্থ সংশ্লিষ্ট ৫৭ ব্যক্তি ও কোম্পানির নামে থাকা ৬ ব্যাংকের দুই শতাধিক অ্যাকাউন্টে গত পাঁচ বছরে লেনদেন পাওয়া গেছে ১ লাখ ৯ হাজার কোটি টাকা। হিসাবগুলোতে এখনো জমা আছে ২৬ হাজার কোটি টাকা। কোম্পানিগুলোর তথ্য বিশ্লেষণ করে অস্বাভাবিক লেনদেনের তথ্য পেয়েছেন কর কর্মকর্তারা।
এস আলম পরিবারের সদস্যদের পাঁচ বছরের লেনদেনের তথ্য জানতে সম্প্রতি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে চিঠি দেয় কর অঞ্চল–১৫। এরই মধ্যে তথ্য দিয়েছে বেশিরভাগ ব্যাংক। যেখানে ছয় ব্যাংকে এস আলম পরিবারের নামে মিলেছে এই ৫৭ ব্যক্তি ও কোম্পানির তথ্য।
এসব কোম্পানির একটি এস আলম কোল্ড রোল্ড স্টিল লিমিটেড। গত পাঁচ বছরে এই কোম্পানির অ্যাকাউন্টে জমা হয় ৮৪ হাজার কোটি টাকা। এখন আছে পৌনে ৫ হাজার কোটি টাকা। কর কর্মকর্তাদের ধারণা, এস আলমের বেশিরভাগ ঋণের টাকা এই হিসাবে জমা হয়। পরে ধীরে ধীরে টাকাগুলো বের করে নেওয়া হয়।
অর্থনৈতিক অঞ্চল কব্জা করতে চেয়েছিলেন এস আলমঅর্থনৈতিক অঞ্চল কব্জা করতে চেয়েছিলেন এস আলম ভেজিটেবল কোম্পানির অ্যাকাউন্টে ঢোকে সাড়ে ৭ হাজার কোটি টাকা। এখন আছে সাড়ে ৪ হাজার কোটি টাকার বেশি। সুপার এডিবল কোম্পানির অ্যাকাউন্টে জমা হয় সাড়ে ৫ হাজার কোটি টাকা। এখনো আছে সাড়ে ৪ হাজার কোটি টাকার বেশি। গ্লোবাল ট্রেডিং করপোরেশন কোম্পানির অ্যাকাউন্টে আছে ৩ হাজার ৬০০ কোটির বেশি। এস আলম ট্রেডিং কোম্পানিতে আছে পৌনে ৫ হাজার কোটি টাকা।
এনবিআর চেয়ারম্যান আবদুর রহমান বলেন, ‘কোন কোন পারসপেকটিভে ট্যাক্স ফাঁকি দিচ্ছে কারা, এটা আমরা প্রায়োরিটি ঠিক করে ধীরে ধীরে করব। আমার ধারণা এখান থেকে কেউই ছাড় পাবে না। সবাইকেই আমরা ট্যাক্সম্যাটের আওতায় আনব।’
পরিবারের সদস্যদের মধ্যে ব্যাংক লেনদেনে সবচেয়ে এগিয়ে এস আলমের ভাই আব্দুল্লাহ হাসান। গত পাঁচ বছর তার অ্যাকাউন্টে জমা হয় ৯০০ কোটি টাকা। আগের জেরসহ এখন আছে ১ হাজার ৫০০ কোটি প্রায়। তবে খোদ এস আলম আছেন শূন্য অবস্থায়। তার অ্যাকাউন্টে ২০ কোটি টাকা ঢুকলেও আছে মাত্র সাড়ে ৫ লাখ। আর তার স্ত্রীর অ্যাকাউন্টে আছে ১৭ লাখ টাকা মাত্র।