এক পথ খোলা রাখতেই বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) পরিচালক পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন খালেদ মাহমুদ সুজন।
বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) প্রায় এক যুগ ধরে বিসিবির বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব থাকা সাবেক এই অধিনায়ক পদত্যাগ করেন।
তবে সুজন কী কারণে পদত্যাগ করেছেন তা বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদের দেওয়া বক্তব্য অনেকটাই নিশ্চিত করে। সভাপতির দায়িত্ব নেওয়ার পর তিনি বলেছিলেন, ‘স্বার্থের সংঘাত হয়, এমন কিছুই হতে দেবেন না বোর্ডে।’
এ কারণেই বিপাকে পড়েছেন সুজন। কারণ, তার বিরুদ্ধে বড় অভিযোগ স্বার্থের সংঘাত। পরিচালক হয়েও তিনি বছরের পর বছর ঢাকা আর বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের কোচের দায়িত্ব সামলে গেছেন। সাবেক বোর্ড সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের আস্থাভাজন হওয়ায় এতদিন সুজনকে নিয়ে কেউই কিছু বলেননি। এখন বোর্ডে থাকতে হলে স্বার্থের সংঘাত এড়াতে কোচিং ছাড়তে হতো সুজনকে। সেই পথ খোলা রাখতেই বিসিবি ছেড়েছেন তিনি।
গেম ডেভেলপমেন্ট চেয়ারম্যান, ক্রিকেট অপারেশন্স ভাইস চেয়ারম্যান, জাতীয় দলের অন্তর্বর্তী কোচ, টিম ডিরেক্টর, টিম ম্যানেজারসহ বহুমাত্রিক রূপে দীর্ঘদিন বিসিবিতে ছিলেন খালেদ মাহমুদ। এসব পদে থেকে সম্মানিও নিয়েছেন তিনি। মাঠের বাইরে একাধিকবার সমালোচিত হলেও ক্রিকেট ও ক্রিকেটারদের প্রতি নিবেদনখালেদ মাহমুদ সুজনকে লাইমলাইটে রেখেছে। ২০২০ যুব বিশ্বকাপ জয়ে তার বড় অবদান ছিল।
খালেদ মাহমুদ সুজন মিডিয়াম-পেস বোলার এবং মিডল-অর্ডারের ব্যাটসম্যান হিসেবে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সঙ্গে খেলেছেন। ১৯৯৮ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত তিনি বাংলাদেশ দলে খেলেছেন এবং ২০০৩ থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ জাতীয় দলের নেতৃত্ব দিয়েছেন।