ঢাকা
২৫শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
দুপুর ১২:৩১
logo
প্রকাশিত : সেপ্টেম্বর ১২, ২০২৪

লাশ পোড়ানোর মাস্টারমাইন্ড কাফী ফের রিমান্ডে

ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সুপার নিউমারারি পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত) আব্দুল্লাহিল কাফিকে সাভারের একটি হত্যা মামলায় চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) ঢাকার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. জুলহাস উদ্দিনের আদালত শুনানি শেষে তার এ রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়।

মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে তাকে সাত দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন সাভার মডেল থানার পরিদর্শক আব্দুল্লা বিশ্বাস। আসামি পক্ষে রিমান্ড বাতিল ও জামিন চেয়ে আবেদন করা হয়। শুনানি শেষে আদালত এ আদেশ দেন। এর আগে গত ৪ সেপ্টেম্বর হাজারীবাগ থানার এক অপহরণ মামলায় তার আট দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।

গত ১৮ জুলাই বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে সাভার থানাধীন এলাকায় পুলিশের গুলিতে নিহত হন ইয়ামিন। এ ঘটনায় তার মামা আব্দুল্লাহ আল মুন কাদির বাদী হয়ে আদালতে মামলা দায়ের করেন। মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ৪৭ জনকে আসামি করা হয়।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, গত ১৮ জুলাই আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা সাভার বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের আরিচাগামী অংশে সশস্ত্র অবস্থায় পাশাপাশি অবস্থান নিয়ে মহাসড়কের ফুটওভার ব্রিজের নিচে অবস্থানরত ছাত্র জনতার ওপর অতর্কিত হামলা চালায় এবং উক্ত আন্দোলনকারীর সঙ্গে অবস্থানরত শাইখ আস-হা-বুল ইয়ামিনকে ধরে টেনে পুলিশের সাঁজোয়া যানের কাছে নিয়ে বুকের বামপাশে গুলি করে। বন্দুকের গুলিতে ইয়ামিনের বুকের বামপাশে অসংখ্য গুলির স্প্লিন্টার লেগে বামপাশ ঝাঁঝরা হইয়া যায়।

এমতাবস্থায় দায়িত্বরত পুলিশেরা ইয়ামিনকে টেনে পুলিশের সাঁজোয়া যানের ওপরে ফেলে রেখে আন্দোলনরত ছাত্র-জনতাকে ভয় দেখানোর জন্য গড়িটি এপাশ থেকে ও পাশ প্রদক্ষিণ করতে থাকে। কিছু সময় পর চলন্ত গাড়ির ছাদ থেকে ইয়ামিনকে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে প্রায় মৃত অবস্থায় রাস্তায় ফেলে দেয় এবং সাঁজোয়া যানের ভেতর থেকে একজন পুলিশ সদস্যকে বের করে ইয়ামিনের পায়ে পুনরায় গুলির নির্দেশ দেয়। ওই পুলিশ সদস্য ইয়ামিনকে মৃত ভেবে পায়ে গুলি না করে পিচ ঢালা রাস্তার ওপরের একপ্রান্ত থেকে অপর প্রান্তে টেনে নিয়ে রোড ডিভাইডারের পাশে ফেলে দেয়।

এছাড়া, সম্প্রতি ঢাকার সাভারের আশুলিয়া এলাকার একটি ভিডিও ফুটেজ ভাইরাল হয়। ওই ফুটেজে দেখা যায়, গত ৫ আগস্ট আশুলিয়া থানা এলাকায় পুলিশ সদস্যরা একটি ভ্যানে একাধিক মরদেহ তুলছে। ওই মরদেহগুলো পরে পুলিশের একটি পিকআপ ভ্যানে তুলে তাতে আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়।

ঘটনাটি নিয়ে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা শুরু হলে তা তদন্ত করতে ঢাকা জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে একটি তদন্ত কমিটিও গঠন করা হয়।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ঢাকা উত্তর জেলা পুলিশের দায়িত্বশীল কর্মকর্তা ছিলেন আবদুল্লাহ হিল কাফী। তার নির্দেশেই মরদেহগুলো পুলিশের পিকআপ ভ্যানে তোলার পর আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়। তাকে শনাক্ত করার পর তিনি দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন।

গত ২ সেপ্টেম্বর রাত ১০টার দিকে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে কাফীকে আটক করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। পরদিন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব ড. মোহাম্মদ আবদুল মোমেন স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।

গ্রেপ্তারের পর হাজারীবাগ থানার দায়ের করা অপহরণের এক মামলায় তার ৮ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

logo
প্রকাশকঃ অধ্যাপক ড. জোবায়ের আলম
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদকঃ তাপস রায় সরকার
মোবাইল: +৮৮০ ১৭৩৬ ৭৮৬৯১৫
কার্যালয় : বিটিটিসি বিল্ডিং (লেভেল:০৩), ২৭০/বি, তেজগাঁও (আই/এ), ঢাকা-১২০৮
মোবাইল: +880 2-8878026, +880 1736 786915, +880 1300 126 624
ইমেইল: tbtbangla@gmail.com (online), ads@thebangladeshtoday.com (adv) newsbangla@thebangladeshtoday.com (Print)
বাংলাদেশ টুডে কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি ও বিষয়বস্তু অন্য কোথাও প্রকাশ করা বে-আইনী।
Copyright © 2024 The Bangladesh Today. All Rights Reserved.
Host by
linkedin facebook pinterest youtube rss twitter instagram facebook-blank rss-blank linkedin-blank pinterest youtube twitter instagram