ইসরাইলের বর্বর হামলার প্রতিবাদে ফিলিস্তিনকে সমর্থন জানিয়ে ব্রিটেনে বিক্ষোভ করেন মুসলিম শিক্ষিকা মারিহা হোসেন (৩৭)। এ সময় তার হাতে একটি প্ল্যাকার্ড দেখা যায়। যেখানে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক ও সুয়েলা ব্র্যাভারম্যানকে নারকেল হিসেবে চিত্রিত করা হয়েছিল।
যার প্রেক্ষিতে ওই শিক্ষিকার ওপর জাতিগতভাবে উত্তেজনা সৃষ্টি ও জনশৃঙ্খলা লঙ্ঘনের আইনে আদালত মামলা দায়ের করা হয়। যেই মামলায় শুক্রবার নির্দোষ প্রমাণিত হয়েছেন মুসলিম ওই শিক্ষিকা।
লন্ডনের সংশ্লিষ্ট আদালতের বিচারক ভেনেসা লয়েড মামলার রায়ে বলেছেন, আমি দেখতে পেয়েছি যে এটি রাজনৈতিক ব্যঙ্গ ধারার অংশ ছিল এবং প্রমাণ করেনি যে এটি কারও প্রতি অপমানজনক ছিল।
এর আগে মারিহা নিজেও দাবি করেছিলেন, প্ল্যাকার্ডটি ছিল নিছকই রাজনৈতিক ব্যাঙ্গ। পরবর্তীতে নারকেল শব্দটি জাতিগত অপবাদের অংশ কিনা সে বিষয়ে বিশেষজ্ঞদের মতামত শোনার পর আদালত তাকে খালাস দেন।
মারিহার আইনজীবী বলেছেন, মারিহা হোসেনের এই মামলাটি স্বাধীন মতপ্রকাশের অধিকারের ওপর একটি বিরক্তিকর আক্রমণ। মারিহা একজন অনবদ্য চরিত্রের নারী, তিনি একজন দায়িত্বশীল এবং চিন্তাশীল নাগরিক। তিনি সত্যিকার অর্থে তার চেয়ে কম ভাগ্যবানদের দুর্দশার কথা চিন্তা করেন। অন্যায়ের বিরুদ্ধে শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করতে প্রস্তুত তিনি।
এ বিষয়ে মারিয়া আদালতকে বলেছেন, তিনি তার পরিবারের সঙ্গে ফিলিস্তিনপন্থী বিক্ষোভে অংশ নিয়েছিলেন। তবে আমার বিরুদ্ধে এই মালমাকে আমি বিস্ময়কর বলে মনে করি। কেননা এটি ঘৃণার বার্তা হিসেবে কল্পনা করা যেতে পারত।
এদিকে প্রসিকিউটর জোনাথন ব্রায়ান বলেছেন, ‘নারকেল’ শব্দটি একটি সুপরিচিত জাতিগত গালি যার অর্থ ‘আপনি বাইরে থেকে বাদামি হতে পারেন, কিন্তু ভিতরে আপনি সাদা।’ অর্থাৎ ভেতরে ভেতরে ইসরাইলকে সমর্থন জানানোয় ঋষি সুনাককে নারিকেলের সঙ্গে তুলনা করে ব্যাঙ্গ করেছিলেন তিনি।