যুদ্ধের নতুন লক্ষ্য ঘোষণা করেছে ইসরায়েল। এবার হিজবুল্লাহ নিয়ন্ত্রিত লেবানন সীমান্তের নাগরিকদের নিরাপদ স্থানে ফিরিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নেতানিয়াহু সরকার।
রাতভর বৈঠকের পর নতুন সিদ্ধান্তে অনুমোদন দেয় দেশটির নিরাপত্তা বিষয়ক মন্ত্রিসভা।
প্রতিরক্ষা মন্ত্রী জানান, সামরিক পদক্ষেপ ছাড়া ওই এলাকা থেকে নাগরিকদের ফিরিয়ে আনা সম্ভব নয়। হিজবুল্লাহ গোষ্ঠির সঙ্গে চুক্তির সম্ভাবনাও শেষ হয়ে গেছে বলে জানান তিনি।
এর ফলে লেবাননের সঙ্গে ইসরায়েলের যুদ্ধের আশংকা আরও তীব্র হলো।
এদিকে, ইরানের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার পর প্রথম সংবাদ সম্মেলনে হামাস নেতা ইসমাঈল হানিয়া হত্যার প্রতিশোধ নেয়ার হুশিয়ারি দিয়েছেন মাসুদ পেজেসকিয়ান। এমন পরিস্থিতির মধ্যেই গাজা যুদ্ধবিরতি ও জিম্মি মুক্তি নিয়ে আলোচনা করতে ১০ম বারের মতো মধ্যপ্রাচ্য সফর করছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন। তবে এ সফরে ইসরায়েল যাচ্ছেন না তিনি।
গেল ৭ অক্টোবর ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর মধ্যপ্রাচ্যে ব্লিংকেনের ১০ম সফর।
স্থানীয় সময় মঙ্গলবার থেকে ৩ দিনের এই সফরে মিশর ও কাতারের মধ্যস্থতায় গাজা যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে পৌঁছানোর চেষ্টা চালাবেন ব্লিংকেন। তবে এ সফরে ইসরায়েল যাচ্ছেন না ব্লিংকেন।
বিশ্লেষকদের মতে, যুদ্ধবিরতিতে এখন বড় বাধা দুটি। একটি মিশরের সঙ্গে ফিলাডেলফি করিডোরে সেনাবাহিনী মোতায়েন রাখতে চায় ইসরায়েল। অন্যটি সুনির্দিষ্ট জিম্মি বিনিময়ের শর্ত।
এদিকে, গাজায় ইসরায়েলি হামলা অব্যাহত রয়েছে। গেল ২৪ ঘণ্টায় নিহত হয়েছে আরও ৩৮ জন। এনিয়ে ১১ মাসে নিহত ফিলিস্তিনির সংখ্যা ৪১ হাজারেরও বেশি।