ক্রিকেট বিশ্বে বাংলাদেশের পোস্টার বয় হিসেবে পরিচিত সাকিব আল হাসান। প্রায় ১৮ বছর ধরে লাল-সবুজের জার্সিতে জাতীয় দলের প্রতিনিধিত্ব করে আসছেন তিনি। এই সময়ে দেশের তো বটেই বিশ্ব ক্রিকেটেরই অনেক রেকর্ড নিজের করে নিয়েছেন সাকিব।
বাংলাদেশ নিজেদের সবশেষ সিরিজে পাকিস্তানকে হোয়াইটওয়াশ করে। ওই সিরিজে উইকেট শিকারের দিক বাঁহাতি স্পিনারদের মধ্যে সবার ওপরে উঠে গিয়েছিলেন সাকিব। পেছনে ফেলেছিলেন নিউজিল্যান্ডের কিংবদন্তি ড্যানিয়েল ভেট্টোরিকে।
বল হাতে উইকেট পেলেও সাকিবের ব্যাটে রানের দেখা নেই অনেকটা দিন ধরেই। পাকিস্তান টেস্ট শেষ করে উড়াল দিয়েছিলেন ইংল্যান্ডে। সেখানে কাউন্টি ক্রিকেটে মাত্র এক ম্যাচ খেলে শিকার করেন ৯ উইকেট। ভারত সিরিজেও বল হাতে মাইলফলকের খুব কাছাকাছি আছেন সাকিব।
ক্রিকেটের ১৪৭ বছরের ইতিহাসে এর আগে কেবল চার ক্রিকেটারই টেস্টে ৪ হাজার রান করার পাশাপাশি ২৫০ উইকেট নেওয়ার মাইলফলক স্পর্শ করেছেন। সাকিব আল হাসান আছেন সেই এলিট ক্লাবে যুক্ত হওয়ার অপেক্ষায়। রানের কোটা আগেই পূরণ করে ফেলেছিলেন। দরকার বল হাতে ৮ উইকেট।
সাকিব ক্যারিয়ারের ৬৯ টেস্ট শেষে রান চার হাজার ৫৪৩ রান করেছেন। তবে ২৫০ উইকেটের মাইল ফলক স্পর্শ করার জন্য আরও ৮টি উইকেট প্রয়োজন। ভারতের বিপক্ষে দুটি টেস্টে ৮টি উইকেট নিতে পারলেই ৩৭ বছরের অলরাউন্ডার টেস্ট ক্রিকেটে ৪ হাজার রানের পাশাপাশি ২৫০ উইকেট নেওয়ার নজির গড়বেন।
সাকিবের আগে এই কীর্তি করেছেন বিশ্ব ক্রিকেটের চার গ্রেট অলরাউন্ডার। ভারতের কপিল দেব, ইংল্যান্ডের স্যার ইয়ান বোথাম ছাড়াও এই ক্লাবে আছেন দক্ষিণ আফ্রিকার জ্যাক ক্যালিস এবং নিউজিল্যান্ডের ড্যানিয়েল ভেট্টরির। রানের দিক থেকে তালিকায় শীর্ষে রয়েছেন দক্ষিণ আফ্রিকার প্রাক্তন অলরাউন্ডার। ১৬৬ টেস্ট খেলে ক্যালিস ১৩ হাজার ২৮৯ রান করেন এবং ২৯২টি উইকেট নেন।
দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন কপিল দেব। ভারতকে বিশ্বকাপ জেতানো অধিনায়ক ১৩১টি টেস্টে পাঁচ হাজার ২৪৮ রান করার পাশাপাশি ৪৩৪টি উইকেট নিয়েছেন। তৃতীয় স্থানে আছেন বোথাম। ইংল্যান্ডের সাবেক ক্রিকেটার ১০২টি টেস্ট খেলে করেছিলেন ৫ হাজার ২০০ রান। নিয়েছিলেন ৩৮৩টি উইকেট। চতুর্থ স্থানে নিউজিল্যান্ডের সাবেক অধিনায়ক। ১১৩টি টেস্ট খেলে ভেট্টরি ৪ হাজার ৫৩১ রান করেছেন। উইকেটের সংখ্যা ৩৬২।