শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে আজ বৃহস্পতিবার ভারতের পশ্চিমবঙ্গে পৌঁছাবে বাংলাদেশের ইলিশ। পশ্চিমবঙ্গের পেট্রাপোল সীমান্ত (এ পাড়ে বাংলাদেশের বেনাপোল) দিয়ে কলকাতা, হাওড়াসহ চারটি বাজারে পৌঁছাবে ইলিশের প্রথম চালান। আগামীকাল শুক্রবার থেকে এ মাছ পাওয়া যাবে খুচরা বাজারে।
বুধবার রাত ১২টার দিকে দুটি রপ্তানি কারকের তিনটি ট্রাকে ১২ মেট্রিক টন ইলিশ বেনাপোল বন্দর এলাকায় দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজার জানিয়েছে, গতকাল ইলিশ রপ্তানিতে ছাড়পত্র দিয়েছে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন বাংলাদেশ সরকারের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। আগামী ১২ অক্টোবর পর্যন্ত ইলিশ রপ্তানি করতে পারবেন বাংলাদেশের রপ্তানিকারকরা। অন্যদিকে, পশ্চিমবঙ্গ ফিস ইমপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আনোয়ার মাকসুদ তাদেরকে ইলিশ আমদানির তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
প্রতিবেদনে বলা হয়, এখন পর্যন্ত ২ হাজার ৪২০ মেট্রিক টন ইলিশ রপ্তানির অনুমোদন দিয়েছে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। সমস্ত প্রস্তুতি শেষ করে বৃহস্পতিবার সকালে বাংলাদেশ থেকে ইলিশভর্তি ট্রাক রওনা দেবে পেট্রাপোল সীমান্তের দিকে। সন্ধ্যায় ইলিশ কলকাতায় পৌঁছে যাওয়ার কথা।
প্রাথমিকভাবে হাওড়া, পাতিপুকুর, শিয়ালদহ ও শিলিগুড়ির বাজারে পদ্মার ইলিশ পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আগামী শনিবারের মধ্যে রাজ্যের প্রায় সব মাছের পাইকারি বাজারে বিক্রি হবে ‘প্রতীক্ষিত’ ইলিশ।
বাংলাদেশের রপ্তানিকারক সংস্থার পক্ষ থেকে ইব্রাহিম আনন্দবাজার অনলাইনকে বলেন, ‘ইলিশের প্রথম চালান বৃহস্পতিবার সকালে এখান থেকে ছেড়ে যাবে। বৃহস্পতিবার বিকেল অথবা সন্ধ্যায় পেট্রাপোল সীমান্তে পৌঁছাবে।’
এদিকে, প্রতি কেজি ইলিশের দাম কত হতে পারে, পশ্চিমবঙ্গজুড়ে এখন চলছে সেই আলোচনা। আমদানিকারক সংস্থা সূত্রে জানা গেছে, গত বছর বাংলাদেশের রপ্তানিকারকদের কাছ থেকে যে মূল্যে ইলিশ পেয়েছিলেন, এ বছর তার থেকে অনেকটাই বেশি দাম দিতে হচ্ছে। খুচরা বাজারে বাংলাদেশের ইলিশের চাহিদাও যথেষ্ট।
উল্লেখ্য, দুর্গাপূজা উপলক্ষে বাংলাদেশ থেকে ইলিশ আমদানি করে ভারত। আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকাকালে ভারতে ইলিশ রপ্তানি রীতিতে পরিণত হয়েছিল। তবে সে সরকারের পতনের পর বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ভারতকে ইলিশ দিতে অপারগতা প্রকাশ করে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আখতার জানিয়েছিলেন, এ বছর ভারতে ইলিশ রপ্তানি করা হবে না।
এরপর অনেক আলোচনা-সমালোচনার মাঝে ভারতে ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দেয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। তবে ইলিশ রপ্তানির অনুমতি বন্ধ চেয়ে হাইকোর্টে রিট করেছেন এক আইনজীবী।