ইসরায়েলে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর মধ্যপ্রাচ্য পরিস্থিতি নিয়ে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে জরুরি বৈঠক ডাকা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘের সদর দপ্তরে স্থানীয় সময় আজ বুধবার সকাল ১০ টায় বৈঠকটি হওয়ার কথা রয়েছে।
নিরাপত্তা পরিষদকে লেখা চিঠিতে জাতিসংঘে নিযুক্ত ইসরায়েলের রাষ্ট্রদূত ড্যানি ড্যানন অভিযোগ করেন, ‘ইসরায়েলকে ধ্বংস করার চেষ্টা করছে ইরান।’ একই সঙ্গে ইসরায়েলি রাষ্ট্রদূত ইরানের নিন্দা জানাতে এবং দেশটির ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কর্পসকে (আইআরজিসি) একটি ‘সন্ত্রাসী সংগঠন’ হিসেবে তালিকাভুক্ত করতে নিরাপত্তা পরিষদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
ইরানের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ফিলিস্তিনের গাজা ও লেবাননে ইসরায়েলি হত্যাযজ্ঞের প্রতিশোধ এবং হামাস, হিজবুল্লাহ ও আইআরজিসির নেতাদের গুপ্তহত্যার জবাবে তারা ইসরায়েলে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে।
মঙ্গলবার রাতজুড়ে ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে ১৮১ টি ব্যালেস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুঁড়েছে ইরানের সেনাবাহিনীর এলিট শাখা ইরান রেভোল্যুশনারি গার্ড কর্পস (আইআরজিসি)। অধিকাংশ ক্ষেপণাস্ত্রই অবশ্য লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানার আগেই ধ্বংস করে দিয়েছে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)।
তবে কয়েকটি ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংস করা যায়নি। সেসব ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীর এলাকায় একজন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন এবং আহত হয়েছেন দুজন ইসরায়েলি। আইডিএফ কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে টাইমস অব ইসরায়েল এবং এএফপি।
এএফপির খবরে বলা হয়, গতকাল মঙ্গলবার রাতে ইসরায়েলে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা নিয়ে কড়া হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র রিয়ার অ্যাডমিরাল ড্যানিয়েল হাগারি। তিনি বলেছেন, মধ্যপ্রাচ্যকে সংঘাতের দিকে ঠেলে দিচ্ছে তেহরান। হামলার প্রতিশোধ নেওয়া হবে।
অপরদিকে ইরানের রেভ্যুলশনারি গার্ড বলছে, ইসরায়েল যদি এই হামলার জবাব দেয়, তাহলে আরও হামলা চালানো হবে।