বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশগ্রহণকারীদের ‘টোকাই বলে ব্যঙ্গ করা অভিনেত্রী জ্যোতিকা জ্যোতিকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দিয়েছে শিল্পকলা একাডেমি।
জ্যোতি ছাড়াও শিল্পকলা একাডেমির চুক্তিভিত্তিক আরও চারজন পরিচালককে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। তাদের চুক্তি বাতিল করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। ২০২৩ সালের ১৩ মার্চ থেকে জ্যোতিকা জ্যোতি দুই বছরের চুক্তিতে একাডেমির গবেষণা ও প্রকাশনা পরিচালক পদে নিয়োগ পেয়েছিলেন।
সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) প্রকাশিত জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সহকারী সচিব নিলুফার ইয়াসমিন স্বাক্ষরিত একটি প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে জ্যোতিকা জ্যোতির অব্যাহতির বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়। জ্যোতি ছাড়াও শিল্পকলা একাডেমির চুক্তিভিত্তিক আরও চারজন পরিচালককে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
ফেসবুকে অব্যাহতির প্রজ্ঞাপনের একটি ছবি পোস্ট করে অভিনেত্রী লিখেছেন, ‘প্রজ্ঞাপনের মধ্য দিয়ে শেষ হলো আমার প্রথম সরকারি চাকরি। বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার আমার চাকরির মেয়াদ থাকার পরও আমাকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দিয়েছেন। আজ (১ অক্টোবর) থেকে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির পরিচালক পদের দায়িত্বে আমি আর নেই।’
জ্যোতি বলেন, ‘দেড় বছরের এই যাত্রায় নতুন নতুন অভিজ্ঞতায় আমাকে যারা ঋদ্ধ করেছেন, তাদের সবাইকে ধন্যবাদ।’
গত ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর পরিস্থিতি বিবেচনায় আর কর্মস্থলে উপস্থিত হননি তিনি। সম্প্রতি শিল্পকলায় নতুন মহাপরিচালক হিসেবে সৈয়দ জামিল আহমেদের নিয়োগ হওয়ার খবর পেয়ে ১৭ সেপ্টেম্বর দুপুরে নিজ কর্মস্থলে গেছেন জ্যোতি। সেখানে গিয়ে সহকর্মীদের তোপের মুখে পড়েন এই অভিনেত্রী। এরপরই পরিচালক পদ থেকে অব্যাহতি পান জ্যোতিকা জ্যোতি।
প্রসঙ্গত গণঅভ্যুত্থানে দেশ থেকে পালিয়ে যাওয়া শেখ হাসিনা সরকারের আমলে শিল্পকলা একাডেমির পরিচালক হিসেবে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পেয়েছিলেন জ্যোতি। আওয়ামী লীগ সরকার পরিবর্তন হওয়ার পর ছাত্র-জনতার আন্দোলনের বিরুদ্ধে ‘আলো আসবেই’ নামে হোয়াটসআপ গ্রুপে যুক্ত হয়ে সরব ছিলেন তিনি। ছাত্র–জনতার ওপর দমন–পীড়ন চলাকালে আওয়ামী লীগ সরকারের পক্ষে সাফাই গাইতে দেখা গেছে তাকে।