সরাসরি ক্ষেপণাস্ত্র হামলার জবাবে ইরানের বিরুদ্ধে ইসরায়েল কীভাবে প্রতিশোধ নেবে তা নিয়ে জল্পনা চলছে। ইতোমধ্যে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন জানিয়েছেন যে ইসরায়েল যদি ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা করতে চায়, তাহলে তাতে সমর্থন দেবেন না তিনি।
তবে জো বাইডেন বলেছেন, ইরানের তেল স্থাপনায় সম্ভাব্য ইসরায়েলি আক্রমণ নিয়ে আলোচনা চলছে। হোয়াইট হাউসের সাংবাদিকরা বাইডেনকে প্রশ্ন করেছিলেন, ইসরায়েল কি ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার জবাব দিতে গিয়ে তেহরানের তেল স্থাপনায় আক্রমণ চালাবে? এর জবাবে বাইডেন বলেছেন, আমরা আলোচনা করছি।
এদিকে শুক্রবার (৪ অক্টোবর) মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের শীর্ষ একজন কর্মকর্তা সিএনএনকে বলেছেন, ইসরায়েল যে ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালাবে না- এমন নিশ্চয়তা তারা বাইডেন প্রশাসনকে দেয়নি।
ওই কর্মকর্তা বলেছেন, এটা সত্যি বলা কঠিন যদি ইসরায়েল ৭ অক্টোবর হামাসের হামলার এক বছর পূর্তিতে প্রতিশোধ নেয়। এই কর্মকর্তাকে সিএনএন প্রশ্ন করেছে, ইসরায়েল কী যুক্তরাষ্ট্রকে নিশ্চিত করেছে যে তারা ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় হামলার বিষয় আলোচনার বাইরে রেখেছে?
এর জবাবে ওই কর্মকর্তা বলেছেন, আমরা আশা ও প্রত্যাশা করি কিছু প্রজ্ঞার পাশাপাশি শক্তি দেখতে পাবো, কিন্তু আপনারা জানেন যে কোনো গ্যারান্টি নেই।
গত মঙ্গলবার ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে ১৮০টি ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ে ইরান। দেশটি দাবি করে, তাদের ছোড়া ৮০ শতাংশ ক্ষেপণাস্ত্র ইসরায়েলে আঘাত হেনেছে। এরপরেই ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেন, তারা এর কড়া জবাব দেবে।
অন্যদিকে ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান বলেছেন, আক্রান্ত হলে তারাও প্রত্যাঘাত করতে তৈরি। তিনি জানান, যেকোনো ধরনের সন্ত্রাসী, জঙ্গি হামলা হলে বা কেউ যদি সীমা অতিক্রম করে, তাহলে আমাদের সেনাবাহিনী তার জবাব দেবে।