আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক ও সাবেক ডিবিপ্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদের বিষয়ে তথ্য পেলেই গ্রেফতার করা হবে বলে জানিয়েছে র্যাব।
রোববার (৬ অক্টোবর) দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মুনীম ফেরদৌস এ কথা জানান।
র্যাব এরই মধ্যে অনেক হেভিওয়েটকে গ্রেফতার করেছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত ওবায়দুল কাদের, জাহাঙ্গীর কবির নানক ও হারুন অর রশীদের মতো বিতর্কিতদের গ্রেফতার করতে পারেনি। তাদের গ্রেফতারের অগ্রগতির বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, তাদের বিষয়ে আমাদের কাজ চলছে। তথ্য পেলেই গ্রেফতার করা হবে।
ওবায়দুল কাদের-নানক-হারুনের তথ্য পেলেই গ্রেফতার: র্যাবসংবাদ সম্মেলনে লেফটেন্যান্ট কর্নেল মুনীম ফেরদৌস
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গণহত্যায় জড়িতদের গ্রেফতারে র্যাবের ভূমিকা জানতে চাইলে লেফটেন্যান্ট কর্নেল মুনীম ফেরদৌস বলেন, ৫ আগস্টের পরে এখন পর্যন্ত র্যাব এক হাজার ৭০ জনকে গ্রেফতার করেছে। এরমধ্যে বিগত সরকারের উচ্চপর্যায়ের ৩৯ জন। পাশাপাশি অস্ত্র হাতে ছাত্র-জনতার ওপর গুলির ঘটনায় ১৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। যাদের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।
র্যাব নেতৃত্বস্থানীয় রাজনৈতিক নেতা থেকে শুরু করে উচ্চপর্যায়ের অনেককেই গ্রেফতার করেছে। এছাড়া বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করেছে। কেউ যদি কোনো তথ্য পান তাহলে র্যাবকে দিলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। র্যাব সবসময় সাধারণ মানুষের পাশে আছে।
পুলিশের ৯০ জনের বেশি কর্মকর্তা এজাহারভুক্ত আসামি। র্যাবের কোনো সদস্যকে আসামি করা হয়েছে কি না জানতে চাইলে মুনীম ফেরদৌস বলেন, র্যাবের কোনো সদস্য পালিয়ে যায়নি। অন্য বাহিনীতে হলেও র্যাবের কোনো সদস্য কর্মবিরতিতে যায়নি।
তিনি বলেন, আটটি বাহিনী থেকে র্যাবে সদস্য আসে। র্যাবের ১০ হাজার সদস্যের মধ্যে প্রায় ৪৪ শতাংশ পুলিশ বাহিনী থেকে আসে। কিন্তু র্যাবে কোনো সমস্যা ছিল না। ছাত্র-জনতার ওপর র্যাব কখনোই মারণাস্ত্র-গুলি ব্যবহার করেনি। র্যাব ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সঙ্গে ছিল এবং অভ্যুত্থান সফল করতে কাজ করে যাচ্ছে।