মজিবর রহমান, মঠবাড়িয়া (পিরোজপুর) প্রতিনিধি: তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদপ্তরের অধীনে হার পাওয়ার প্রকল্পের আওতায় পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় ফ্রীল্যান্সিং প্রশিক্ষণে ২৫ প্রশিক্ষাণার্থী মেয়ে পেল ল্যাপটপ।
আজ বুধবার (৯ অক্টোবর) বেলা সাড় ১২ টায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার এর কার্যালয়ে উপজেলা আইসিটি এর আয়োজনে হার পাওয়ার প্রকল্পের ৩য় এবং সর্বশেষ ফেজে ওমেন ই কমার্স প্রফেশনাল ক্যাটাগরীতে ২৫ জন নারী প্রশিক্ষাণার্থীকে এ ল্যাপটপ প্রদান করা হয়।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও পৌর প্রশাসক আবদুল কাইয়ূম প্রধান অতিথির বক্তব্য প্রদান করেন এবং প্রশিক্ষাণার্থী মেয়েদের হাতে ল্যাপটপ তুলে দেন। এ ছাড়াও বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিধ মো: মনিরুজ্জামান, উপজেলা আইসিটি কর্মকর্তা মোঃ রাকিবুল ইসলাম, বীর মুক্তিযোদ্ধা মুজিবুল হক খাঁন মজনু।
এছাড়াও ল্যাপটপ প্রদান অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ই কমার্স প্রফেশনাল ব্যাচের ভেন্ডর প্রতিষ্ঠান চাল ডালের প্রতিনিধিবৃন্দ ও প্রশিক্ষাণার্থীবৃন্দ।
উপজেলা তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি কার্যালয়ে সূত্রে জানা যায়, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদপ্তরের অধীনে হার পাওয়ার প্রজেক্টের আওয়তায় সারা বাংলাদেশের ১৩০ টি উপজেলায় বিভিন্ন ক্যাটাগরীতে ফ্রীল্যান্সিং প্রশিক্ষণ চলমান রয়েছে। তারই ধারাবাহিকতায় পিরোজপুর জেলার ৩টি উপজেলা পিরোজপুর সদর, নাজিরপুর, মঠবাড়ীয়াতে হার পাওয়ারের কার্যক্রম চলমান। এর লক্ষ্য হচ্ছে, নারীদের স্বনির্ভর ও স্বাবলম্বী করা। এছাড়া তথ্য প্রযুক্তি খাতে অবদানের পশাপাশি আর্থিক স্বচ্ছলতা এবং ফ্রীল্যান্সিং করে বৈদেশিক মু্দ্রা অর্জন করে দেশের অর্থনীতির চাকা সম্মৃদ্ধশালী করার মাধ্যমে রেমিট্যান্স খাতকে শক্তিশালী করাই এই প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য।
ইতোমধ্যে মঠবাড়ীয়া উপজেলায় ১ম ফেজে ৬ মাস ব্যাপী প্রশিক্ষণ কার্যক্রম সফল ভাবে সম্পন্ন হয়েছে। সেখানে ফ্রীল্যান্সিং এর বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে ৮০ জন মেয়ে সফলভাবে প্রশিক্ষন গ্রহন করে। প্রশিক্ষণ শেষে পিরোজেপুর জেলায় জেলা প্রশাসকের উপস্থিতিতে ৮০ জন মেয়েকে ল্যাপটপ, যাতায়াত ভাতা এবং সার্টিফিকেট প্রদান করা হয়। পরবর্তীতে ২য় ফেজে ৮০ জন মেয়েকে আইটি সার্ভিস প্রোভাইডার ক্যাটাগরীতে বিভিন্ন ব্যাচে মঠবাড়ীয়াতে ফ্রীল্যান্সিং কার্যক্রম বর্তমানে চলমান রয়েছে। হার পাওয়ারের এই সকল কার্যক্রম ভেন্ডর প্রতিষ্ঠান ই কমার্স প্রফেশনাল এই ব্যাচের কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে ভেন্ডর প্রতিষ্ঠান চাল ডালের মাধ্যমে। এই ব্যাচ আগামী ৬ মাস চলমান থাকবে।