আশ্রয়ণ প্রকল্প নিয়ে বিগত সরকার অনেক কথা বলেছে। বাংলাদেশে গৃহহীন কেউ থাকবে না, প্রত্যেকের ঘর থাকবে, এসব গান করেছে। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে, আসল মানুষ ঘর পায়নি। দেখা যাচ্ছে, এই প্রকল্পগুলো পরিকল্পনায় ও বাস্তবায়নে ত্রুটি ছিল।
যার কারণে এই প্রকল্পগুলো বেনিফিট দিচ্ছে না। এই প্রকল্পগুলোতে যেমন জনগণের অর্থের অপচয় হয়েছে, তেমনি দুর্নীতিবাজদের সহযোগিতা করা হয়েছে।
এখন এই প্রকল্পগুলো পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে যাচাই করা এবং বাস্তবায়নের সঙ্গে যারা জড়িত ছিল, তাদের আইডেন্টিফাই করে আইনের আওতায় আনা উচিত। ভবিষ্যতে যাতে এভাবে কেউ জনগণের অর্থ অপচয় না করতে পারে, সে জন্য তাদের যথোপযুক্ত বিচার হওয়া উচিত।
যারা যোগ্য লোকদের ঘর না দিয়ে অযোগ্যদের দিয়েছে, তাদেরও বিচার হওয়া উচিত। যারা অন্যায়ভাবে ঘর পেয়েছে, তাদের থেকে ফেরত নিয়ে যোগ্যদের দেওয়া উচিত। অর্থাৎ যত ধরনের অনিয়ম হয়েছে সব অনিয়মের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।
মিরসরাইয়ে ইকোনমিক জোন করার ক্ষেত্রে পরিকল্পনাতেই দুর্বলতা রয়েছে।
এত বড় শিল্প করা হচ্ছে, এর শ্রমিক কোথা থেকে আসবে, সেটা চিন্তা করা উচিত ছিল। তাদের আবাসনের জন্য ব্যবস্থা করা উচিত ছিল। শ্রমিক না থাকলে তো শিল্প-কারখানা চলবে না। তাই যারা এটা ডিজাইন করেছিল বা পরিকল্পনা করেছিল, তাদের এটা মাথায় রাখা দরকার ছিল।
তা না হলে শিল্প চালু হবে না। শ্রমিকের যাতে অভাব না থাকে তার জন্য দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। এই শিল্পাঞ্চল পরিকল্পনার সঙ্গে যারা জড়িত ছিল তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। তারা সঠিক পরিকল্পনা নিলে এত দিন অনেক কারখানা চালু হতো। দেশের অর্থনীতি গতিশীল হতো। জনগণের কর্মসংস্থান হতো, বেকারত্ব লাঘব হতো।
লেখক : ইনস্টিটিউট ফর ইনক্লুসিভ ফিন্যান্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (আইএনএম) নির্বাহী পরিচালক, সাবেক মহাপরিচালক, বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান (বিআইডিএস)।