দাম্পত্য সম্পর্কে শারীরিক এবং মানসিকভাবে সঙ্গীর প্রতি নির্ভরতা তৈরি হয়। ভালোবাসাহীনতা কিংবা নিরপত্তাহীনতা তৈরি হলে এই সম্পর্কটা এগিয়ে যেতে যেতে থেমে যেতে পারে। হতে পারে বিচ্ছেদ। এরপর নানা রকম চিন্তা আপনাকে গ্রাস করতে পারে। মনোরোগ বিশেষজ্ঞ গ্রিনবার্গ বলেছেন, ' আমি চিন্তা থামানোর পরামর্শ দিই। যখন বুঝতে পারবেন আপনি সেই চিন্তাগুলোতেই আটকে আছেন, তখন সেখানেই নিজেকে থামিয়ে দিন।'
বিচ্ছেদ মানে একটি ঝড়! অভিনেত্রী সামান্থা রুথ প্রভুর এই অভিজ্ঞতা রয়েছে। নাগা চৈতন্যর সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদের পরে মানসিক ভাবে একেবারে ভেঙে পড়েছিলেন এই অভিনেত্রী।। তারপর নিজেকে সামলে নিতে জীবনযাপনে অনেক বদল এনেছেন। আগের মতোই ত্বকের দীপ্তি ফিরে পেতে সক্রিয় হয়েছেন তিনি। তার ডেইলি রুটিনে যুক্ত হয়েছে নিয়মিত ডায়েট, শরীরচর্চা, মেডিটেশন ও কিছু অভ্যাস।
সামান্থার দিন শুরু হয় সকাল সাড়ে ৬টা থেকে। তিনি ঘুম থেকে উঠেই রোদে কিছু সময় হাঁটাহাঁটি করেন। শরীরে রোদ লাগানোর পরে ‘অয়েল পুলিং’ করেন। এই পুলিং-এর মাধ্যমে পানির বদলে তেল দিয়ে মুখ কুলকুচি করা হয়।প্রাচীন ভারতীয় আয়ুর্বেদ শাস্ত্রে এই পদ্ধতির উল্লেখ পাওয়া যায়। তেল দিয়ে কুলকুচি করে দাঁত ও মাড়ি ভালো রাখেন সামান্থা। এই পদ্ধতিতে কুলকুচি করলে মুখে দুর্গন্ধ হয় না, মুখের ভেতর জীবাণুর সংক্রমণের আশঙ্কাও থাকে না। সকাল ৭ টায় শরীরচর্চা করেন সামান্থা।
ত্বকের জৌলুস পুরোপুরি ফিরে পেতে ‘রেড লাইট থেরাপি’ শুরু করেছেন তিনি। এই থেরাপি ত্বকের প্রদাহ দূর করে, ত্বকের বয়সও কমায়। পরে বরফ পানিতে কিছুক্ষণ মুখ ডুবিয়ে রাখেন সামান্থা। এটিও এক ধরনের ফেশিয়াল থেরাপি। এই থেরাপি ত্বকের প্রদাহ, বলিরেখা ও ব্রণের সমস্যা দূর করে।
দিনের কাজ শেষে সন্ধ্যা ৬টায় আবার রেড লাইট থেরাপি নেন। পরে পিক্লবল খেলতে চলে যান। এই খেলা নিয়মিত অভ্যাস করলে হাত-পায়ের পেশির সক্রিয়তা বাড়ে। খেলা শেষে কিছু ক্ষণ মেডিটেশন করেন সামান্থা।
সামান্থা রাত ১০টার মধ্যেই ঘুমাতে চলে যান। এই ডেইলি রুটিন মেনে তিনি শারীরিক ও মানসিকভাবে সুন্থ হয়ে উঠেছেন। ২০২১ সালের ২ অক্টোবর আনুষ্ঠিক বিচ্ছেদের ঘোষণা দেন দুজন নাগা ও সামান্থা। অতীত সম্পর্কেও আর ফিরতে চান না তিনি। সম্পর্ক জোড়া লাগা তো দূর, তিনি আর নাগার কাছেও ঘেঁষতে চান না।
সুস্থ সম্পর্ক কেউ ছেড়ে আসে না। এটা কাম্যও না। কিন্তু সম্পর্ক যখন অসুস্থ হয় তখন ছেড়ে আসা ছাড়া উপায় থাকে না। বিচ্ছেদ হয়েছে বলে নিজেকে সব সময় দায়ী ভাববেন না। পরিস্থিতি সামলে নেওয়ার জন্য নিজেকে নিয়ে পরিকল্পনা করুন। একটি ডেইলি রুটিন সেট করে সেই অনুযায়ী কাজ করতে পারেন। সামাস্থার মতো শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ হয়ে উঠতে পারেন।