ভারতের রাজস্থান রাজ্যের কঙ্কানি গ্রামে ‘হাম সাথ সাথ হ্যায়’ সিনেমার শুটিং করতে গিয়ে কৃষ্ণসার হরিণ হত্যায় নাম জড়ানোর পর থেকে লরেন্স বিষ্ণোইর নেতৃত্বাধীন বিষ্ণোই গ্যাং হিটলিস্টে হয়েছেন বলিউডের বাদশাহ সালমান খান।
সম্প্রতি বিষ্ণোই গোষ্ঠীর সদস্যরা দিল্লির রাস্তায় প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করে সালমানের সবচেয়ে ঘনিষ্ঠজন হিসেবে পরিচিত বাবা সিদ্দিকীকে। এই হত্যাকাণ্ডের পর থেকে সালমান খানের নিরাপত্তা নিয়ে তৈরি হয়েছে নানা অনিশ্চয়তা।
সম্প্রতি মুম্বাই ট্র্যাফিক পুলিশের হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর বিষ্ণোই গ্যাং এক বার্তা দিয়েছিলেন। যেখানে সালমান খানের কাছে ৫ কোটি টাকা দাবি করা হয়। মেসেজে লেখা ছিল, সালমান খান যদি বেঁচে থাকতে চান এবং লরেন্স বিষ্ণোই গ্যাং-এর সঙ্গে সব শত্রুতা শেষ করতে চান, তাহলে তাকে পাঁচ কোটি টাকা দিতে হবে। এটাকে হালকাভাবে নিলে ভুল করবেন।
এই বার্তার পর সেই একই নম্বর থেকে এল নতুন বার্তা। যেখানে লেখা হয়েছে, ‘ক্ষমাপ্রার্থী, একটা বড় ভুল হয়ে গেছে।’ বাবা সিদ্দিকীর মৃত্যুর পর থেকে বিষ্ণোই গ্যাংয়ের নিশানায় সালমান। তারপর থেকে একের পর এক আসছে তার মৃত্যুর হুমকি।
আগে মুম্বাই ট্র্যাফিক পুলিশকে সেই নম্বর থেকে অনেক কিছু লিখে পাঠানো হয়। টাকা না দিলে তার অবস্থা বাবা সিদ্দিকির থেকেও খারাপ হবে। মুম্বাই পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে।
মাস কয়েক আগেই সালমান খানের বাড়ির বাইরে গুলি চালানোর ঘটনা ঘটেছিল। অভিনেতা জানিয়েছিলেন, তাকে এবং তার পরিবারের সদস্যদের হত্যার পরিকল্পনা করা হয়েছিল। সেই ঘটনায় অভিযুক্তদের গ্রেফতার করে পুলিশ।
পরে পুলিশ চার্জশিটে দাবি করে যে লরেন্স বিষ্ণোই গ্যাং সালমানকে হত্যা করার জন্য হুমকি দিয়েছিল। পুলিশ ওই হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজের সূত্র খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে। সাম্প্রতিক পরিস্থিতিতে তার নিরাপত্তা নিয়ে বেড়েছে উদ্বেগ।