সাগরে হারিয়ে যাওয়ার ১২ ঘণ্টা পর জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে হাওয়াইয়ের এক কিশোরকে। একজন অফ-ডিউটি লাইফগার্ড কিশোরকে উদ্ধার করার জন্য মূল ভূমিকা পালন করেন। উদ্ধারের পরে কিশোরকে পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেয়া হয়। এক প্রতিবেদনে যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম কেবিটিএক্স এ তথ্য জানায়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ১৭ বছর বয়স্ক কাহিও কাওয়াই গত বুধবার বিকেল চারটার দিকে হাই স্কুলের বন্ধুদের সঙ্গে কায়াকিংয়ে যায়। তবে প্রবল বাতাস এবং বিক্ষুব্ধ সাগরের কারণে ফিরে আসার সিদ্ধান্ত নেয় দলটি। একপর্যায়ে তারা আবিষ্কার করে কাওয়াই হারিয়ে গেছে।
তারপর থেকেই যুক্তরাষ্ট্রের কোস্টগার্ডসহ বিভিন্ন সংস্থার কর্মীরা কাওয়াইয়ের খোঁজ শুরু করেন। অনুসন্ধানকারীরা উড়োজাহাজ এবং উদ্ধারকারী বোট ব্যবহার করেন।
এদিকে ওই সময় ডিউটিতে না থাকা উদ্ধারকর্মী নোলান্ড কিয়েলানাকে নিখোঁজ ওই কিশোরের বিষয়টি জানানো হয়েছিল। তিনি দ্রুত পদক্ষেপ নেন এবং রাত সাড়ে আটটার দিকে নিজের বোট নিয়ে অনুসন্ধান শুরু করেন। এই এলাকার চারপাশের ১০০ মাইল এলাকায় অনুসন্ধান চালান পরবর্তী কয়েকটি ঘণ্টা।
ভোর চারটার ঠিক পরে কোস্টগার্ডের একটি এয়ারক্রাফটের কর্মী সাগরে কাওয়াইকে আবিষ্কার করেন। প্রবল ঢেউয়ের সঙ্গে যুদ্ধ করে কায়াকটি আঁকড়ে ধরে কোনোমতে সাগরে ভাসছিল সে। তবে দাঁড়টা সাগরে হারিয়ে ফেলায় কায়াকটি (সরু এক ধরনের জলযান) আঁকড়ে ধরে কোনোভাবে সাগরের তীরের থাকার চেষ্টা করছিল।
কোস্টগার্ড রেডিওতে কিয়েলানার সঙ্গে যোগাযোগ করে কাওয়াইয়ের অবস্থান চিহ্নিত করে রাখার জন্য একটি ফ্লেয়ার বা অগ্নিশিখার সংকেত ফেলেন সাগরের ওই অংশে। একসময় ছেলেটিকে খুঁজে বের করা সম্ভব হয়।
কিয়েলানা কাওয়াইকে নৌকায় টেনে নিয়ে কম্বল ও তোয়ালে জড়িয়ে দেন। তারপর বোটে করে আলা ওয়াই বোট হারবারে নিয়ে আসেন।
সেখানে হনলুলু ইমার্জেন্সি মেডিকেল সার্ভিসেসের প্যারামেডিকরা তার চিকিৎসা করেন। হনলুলু ইমার্জেন্সি সার্ভিসেস বিভাগের মুখপাত্র শেইন এনরাইট বলেন, ‘কাওয়াই হাইপোথার্মিয়া, চরম পানিশূন্যতা এবং ঠান্ডার কারণে খিঁচুনিতে ভুগছিল। তবে সে জেগে ছিল।’