পশ্চিমা বিশ্ব এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে কোনো শক্তিশালী কণ্ঠস্বরের কথা এলে সবার আগে আসে রাশিয়া এবং চীনের নাম। একের পর এক মার্কিন নিষেধাজ্ঞার পরও দুটি দেশই ক্রমবর্ধমান অস্থির সময়ে আরো কাছাকাছি এসেছে।
মঙ্গলবার রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, ‘দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে কীভাবে তৈরি করা উচিত তার উদাহরণ রাশিয়া-চীন সম্পর্ক’।
মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) এক প্রতিবেদনে এ খবর দিয়েছে আনাদোলু এজেন্সি।
রাশিয়ার কাজান শহরে ব্রিকস সম্মেলনের সাইডলাইনে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে বৈঠক করেন পুতিন। বৈঠকে পুতিন বলেন, ‘তীব্র পশ্চিমা চাপ সত্ত্বেও দুই দেশ দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বৃদ্ধি অব্যাহত রেখেছে এবং অন্যান্য অনেক ক্ষেত্রে সম্পর্ক উন্নয়ন করছে।
পুতিন বলেন, ‘মস্কো এবং বেইজিং বৈশ্বিক বিষয়ে সমন্বয় জোরদারে দুই দেশের সম্পর্ক সমান। একইসঙ্গে দুই দেশ পারস্পরিক বিষয়ে শ্রদ্ধাশীল।
অন্যদিকে চীনা প্রেসিডেন্ট শি বলেছেন, ‘রাশিয়ান-চীনা সম্পর্ক তৃতীয় দেশের বিরুদ্ধে পরিচালিত নয়। এ ছাড়া বৈশ্বিক পরিবর্তন মস্কো এবং বেইজিংয়ের বন্ধুত্বকে প্রভাবিত করতে পারে না’।
এদিকে শি-পুতিনের বৈঠক নিয়ে চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘দুই সরকারপ্রধান সবসময় চীন-রাশিয়া সম্পর্কের দিকে অত্যন্ত মনোযোগ দিয়েছেন এবং স্থিরভাবে পরিচালনা করেছেন’।
বিবৃতিতে আরো বলা হয়েছে, ‘উভয় দেশ স্থায়ী সু প্রতিবেশীসুলভ বন্ধুত্ব এবং ব্যাপক কৌশলগত সমন্বয়ের মনোভাব নিয়ে কাজ করেছে’।