গাজা ভূখণ্ডে ইসরায়েলি বর্বর হামলায় একদিনেই গাজা ও লেবাননে নিহত হয়েছেন ৭৪ জন। এর মধ্যে ৫৩ ফিলিস্তিনি এবং ২১ জন লেবানিজ নিহত হন। এতে করে গাজা উপত্যকায় নিহতের মোট সংখ্যা ৪২ হাজার ৯২০ ছাড়িয়ে গেছে।
সোমবার (২৮ অক্টোবর) এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।
সংবাদমাধ্যমটির প্রতিবেদনে বলা হয়, রোববার গাজাজুড়ে হওয়া ইসরায়েলি হামলায় ওই ৫৩ জন নিহত হন। মৃত এসব ফিলিস্তিনির মধ্যে অন্তত ৪৬ জন প্রাণ হারিয়েছেন উপত্যকাটির উত্তরাঞ্চলে।
এছাড়া গাজার আবাসিক এলাকায় বোমা হামলা এবং গণগ্রেপ্তারের মাধ্যমে চলমান হামলা ও অবরোধ আরও জোরদার করেছে ইসরায়েল।
ফিলিস্তিনি চিকিৎসক হুসেইন আল-হালাবি বলেছেন, “ইসরায়েলি যুদ্ধবিমান আসমা স্কুলকে লক্ষ্যবস্তু করে হামলা চালিয়েছে। আহত বিপুল সংখ্যক মানুষকে আল-আহলি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আটকা পড়ে রয়েছেন আরও বেশ কয়েকজন আহত। এই স্কুলটি জাবালিয়া এবং গাজা শহরের পশ্চিম এলাকা থেকে বাস্তুচ্যুত লোকেদের আশ্রয়স্থল ছিল।”
গত চার সপ্তাহ ধরে উত্তর গাজায় ব্যাপক অভিযান চালাচ্ছে ইসরায়েল। কিছু মেডিকেল সূত্র আল জাজিরাকে বলেছে, এই সময়ে অন্তত এক হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।
ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এ নিয়ে ইসরাইলি হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৪২ হাজার ৯২৪ জনে দাঁড়িয়েছে। তাদের মধ্যে প্রায় ১৬ হাজার ৭৬৫ জন শিশু রয়েছেন। এছাড়া নিখোঁজ রয়েছেন আরও প্রায় ১০ হাজারের বেশি মানুষ।
অন্যদিকে লেবাননের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইসরাইলি বাহিনীর বিমান হামলায় লেবাননের অন্তত ২১ জন নিহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে তিনজন স্বাস্থ্যকর্মী রয়েছেন।
মূলত গত ২৩ সেপ্টেম্বর থেকে রাজধানী বৈরুতের পাশাপাশি লেবাননজুড়ে ব্যাপক বিমান হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর দাবি, সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর অপারেটিভস, অবকাঠামো এবং অস্ত্রাগারকে লক্ষ্য করে এই হামলা চলছে।
হিজবুল্লাহও পাল্টা আঘাত হানছে। গত সপ্তাহে লেবাননে অভিযানরত ইসরায়েলি বাহিনীর ৭০ জন সেনাকে হত্যার দাবি করেছে শক্তিশালী এই সশস্ত্র গোষ্ঠীটি। অবশ্য ঠিক কত দিনে এই সেনারা নিহত হয়েছেন, তা এই বিবৃতিতে উল্লেখ করেনি গোষ্ঠীটি।
এদিকে, মিশরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসি বন্দি বিনিময়ের জন্য প্রাথমিকভাবে গাজায় দুই দিনের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব করেছেন।