পেন্টাগন জানিয়েছে, উত্তর কোরিয়া প্রায় ১০,০০০ সেনা রাশিয়ায় পাঠিয়েছে, যা আগের ধারণার চেয়ে তিনগুণ বেশি। ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়াকে সমর্থন দেওয়া এবং সৈন্য প্রেরণ নিয়ে উত্তর কোরিয়ার এই পদক্ষেপের পরিপ্রেক্ষিতে ইউক্রেন যুদ্ধ বিস্তারের আশঙ্কায় সতর্ক করেছে ন্যাটো।
পেন্টাগনের ডেপুটি প্রেস সেক্রেটারি সাব্রিনা সিং জানান, উত্তর কোরিয়ার সেনারা রাশিয়ার পূর্বাঞ্চলে প্রশিক্ষণ নিচ্ছে এবং তারা সম্ভাব্যভাবে রুশ সেনাদের শক্তিবৃদ্ধি করতে ইউক্রেন সীমান্তের কাছাকাছি মোতায়েন হবে। তার মতে, কিছু সেনা ইতোমধ্যে ইউক্রেনের কাছাকাছি রাশিয়ার কুরস্ক অঞ্চলের দিকে এগিয়ে গেছে। রাশিয়া সম্ভবত এদের ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধে বা যুদ্ধে সহায়তার জন্য কাজে লাগাতে পারে, যা আন্তর্জাতিক উদ্বেগ বাড়াচ্ছে।
এদিকে, মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের মুখপাত্র জন কিরবি এর আগের এক প্রতিবেদনে জানান যে, প্রায় ৩,০০০ উত্তর কোরীয় সেনা ইতোমধ্যেই রাশিয়ায় রয়েছে। তিনি হুঁশিয়ারি দেন, এই সেনারা যদি ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে তবে তারা বৈধ সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হবে।
ন্যাটো প্রধান মার্ক রুটে সোমবার বলেন, রাশিয়ার যুদ্ধে উত্তর কোরিয়ার সেনা মোতায়েন একটি বিপজ্জনক পদক্ষেপ যা রাশিয়ার ‘বাড়তে থাকা হতাশা’-কে নির্দেশ করে। বিশেষজ্ঞদের মতে, রাশিয়া উত্তর কোরিয়ার এই সমর্থনের বিনিময়ে সামরিক প্রযুক্তি, যেমন নজরদারি স্যাটেলাইট ও সাবমেরিনের সহযোগিতা দিচ্ছে, যা দুই দেশের মধ্যে নিরাপত্তা চুক্তিকে আরও শক্তিশালী করছে।
উল্লেখ্য, উত্তর কোরিয়া ও রাশিয়া উভয়ই জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞার আওতায় রয়েছে; পিয়ংইয়ং তাদের পারমাণবিক অস্ত্র কর্মসূচির কারণে এবং মস্কো ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে নিষেধাজ্ঞার আওতায় রয়েছে। সূত্র : এনডিটিভি