সাম্প্রতিক সময়ে উত্তর কোরিয়া ও রাশিয়ার মধ্যে সামরিক সহযোগিতার উদ্যোগ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের জন্য বড় ধরনের নিরাপত্তা ঝুঁকির সৃষ্টি হয়েছে বলে মনে করছেন দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওল।
মঙ্গলবার সিউলে মন্ত্রিসভা বৈঠক শেষে এই মন্তব্য করে তিনি।
এর আগে দক্ষিণ কোরিয়ার গোয়েন্দা বিভাগের যাচাই-বাছাইয়ের ভিত্তিতে ইউন বলেন, পূর্ব-ধারণার চেয়ে আরও শিগগিরই ইউক্রেনের যুদ্ধক্ষেত্রে উত্তর কোরিয়ার সেনাদের দেখা যেতে পারে।
এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা বিভাগ সোমবার বলেছে, উত্তর কোরিয়া প্রায় ১০ হাজার সৈন্যকে প্রশিক্ষণ নেওয়ার জন্য রাশিয়ায় পাঠিয়েছে, যা এর আগের পূর্বাভাসের চেয়ে তিন গুণেরও বেশি।
পেন্টাগনের উপ-প্রেস সচিব সাবরিনা সিং পেন্টাগনে সংবাদদাতাদের বলেন, আমরা বিশ্বাস করি ডিপিআরকে রাশিয়ার পূর্বাঞ্চলে মোট ১০ হাজার সৈন্য পাঠিয়েছে, যাদেরকে সম্ভবত আগামী বেশ কয়েক সপ্তাহজুড়ে ইউক্রেনের কাছাকাছি জায়গায় অবস্থানরত রুশ বাহিনীকে আরও বলিষ্ঠ করার কাজে ব্যবহার করা হতে পারে। এই মন্তব্য করার সময় তিনি উত্তর কোরিয়ার সরকারি নামের আদ্যাক্ষর ব্যবহার করেন।
সোমবার ন্যাটো নিশ্চিত করেছে, উত্তর কোরিয়ার তিন হাজার সৈন্যকে রাশিয়ায় পাঠানো হয়েছে যাতে তারা ইউক্রেনের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে মস্কোকে সহায়তা করতে পারে। এই সৈন্যদের রাশিয়ার কুরস্ক অঞ্চলে মোতায়েন করা হয়েছে। সেখানে কিয়েভের বাহিনী আগস্টে অতর্কিত হামলা চালিয়েছিল এবং এখনো তারা রুশ ভূখণ্ডের ওই অঞ্চল দখল করে রেখেছ।
ন্যাটোর মহাসচিব মার্ক রুটে বলেছেন, রাশিয়া ও উত্তর কোরিয়ার মধ্যে ক্রমবর্ধমান পারষ্পরিক সহযোগিতার ধারা ইন্দো-প্যাসিফিক ও ইউরো-আটলান্টিক, উভয় অঞ্চলের নিরাপত্তার প্রতি হুমকি।
ব্রাসেলসে দক্ষিণ কোরিয়ার গোয়েন্দা ও সামরিক কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে গঠিত একটি প্রতিনিধি দলের কাছ থেকে ন্যাটোর কর্মকর্তা ও কূটনীতিকরা ব্রিফিং পাওয়ার পর এই মন্তব্য করেন রুটে।
পেন্টাগন কর্মকর্তা সিং হুশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, আমরা যদি যুদ্ধক্ষেত্রে ডিপিআরকের সৈন্যদের এগিয়ে আসতে বা প্রবেশ করতে দেখি, তাহলে তারা এই যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী হিসেবে বিবেচিত হবে।
তথ্যসূত্র: রয়টার্স