চট্টগ্রামে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় ছাত্র-জনতার ওপর গুলি চালানোর ঘটনায় আরো একটি মামলা হয়েছে। এ মামলায় সাবেক হুইপ সামশুল হক চৌধুরী, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও পটিয়ার সাবেক সংসদ সদস্য মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরীসহ ২৬৫ জনের নাম উল্লেখ করা হয়। তা ছাড়া সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদকে প্রধান আসামি করে অজ্ঞাত আরো ৫০০-৬০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
সোমবার (৪ নভেম্বর) রাতে চট্টগ্রাম মহানগরীর সদরঘাট থানায় মামলাটি করেছেন লোহাগড়া উপজেলার বাসিন্দা চট্টগ্রামের ব্যাবসায়ী মোহাম্মদ মোমেন হোসেন জয়।
চট্টগ্রাম মহানগরীর সদরঘাট থানায় মামলাটি দায়ের করেছেন বলে নিশ্চিত করেছেন সদরঘাট থানায় ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রমিজ আহমদ।
মামলার অন্যান্য আসামিদের মধ্যে রয়েছেন, সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাসান মাহমুদ, সাবেক শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, সাবেক সিটি মেয়র আ. জ. ম নাছির উদ্দিন, সাবেক এমপি ফজলে করিম চৌধুরী, সাবেক সিটি মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী, সাবেক এমপি আব্দুস ছালাম, কুমিল্লার সাবেক সিটি মেয়র তাহসিন বাহার সূচনা, সাবেক এমপি মুজিবুর রহমান, সাবেক এমপি মহিউদ্দিন বাচ্চু, সাবেক এমপি আবু রেজা নদভী ও তার স্ত্রী রিজিয়া রেজা চৌধুরী, হেলাল আকবর চৌধুরী বাবরসহ চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা, মহানগর, বিভিন্ন উপজেলার আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
মামলার এজহারে উল্লেখ করা হয়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় আমি শুরু থেকে আন্দোলনে অংশগ্রহণ করি এবং নেতৃত্ব দেই। একইসঙ্গে আন্দোলনে অংশগ্রহণকারীদের খাবার পানি ও শুকনা খাবার সরবরাহ করার পাশাপাশি আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করি।
গত ৪ আগস্ট সকাল ১১টা থেকে ৫ আগস্ট রাত ১০টা পর্যন্ত এজাহারনামীয় ১-৩৯ নং আসামিদের হুকুমে ৪০-৮০ নং আসামিদের নেতৃত্বে ৮১-২৬৫ নং বিবাদিরাসহ অজ্ঞাতনামা ৫০০/৬০০ জন আসামি সদরঘাট থানার সিটি কলেজের সামনে থেকে ইসলামিয়া কলেজের মোড়সহ আশপাশের অলিগলি থেকে তাহাদের হাতে থাকা বাঁশের লাঠি, কাঠের লাঠি, ইট-পাথর, লোহার রড ও আগ্নেয়াস্ত্র সহ সজ্জিত হয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে রাস্তায় অবস্থান নিয়ে এলোপাতাড়িভাবে গুলি-বর্ষণ করতে থাকে এবং এসব আওয়ামী সন্ত্রাসীরা ছাত্র আন্দোলন দমানোর জন্য কেন্দ্রীয় নির্দেশনায় ১-৩৯ নং আসামিদের প্ররোচনায় চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবকলীগ, কৃষকলীগ, তাঁতীলীগ, ছাত্রলীগসহ বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের কেন্দ্রীয়, জেলা ও থানা পর্যায়ের নেতাদের প্ররোচনায়, অর্থায়নে ও নির্দেশে ছাত্রজনতার শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ মিছিলের গতিরোধ করে।