ঢাকা
২৪শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
রাত ৩:১০
logo
প্রকাশিত : নভেম্বর ৭, ২০২৪

যুক্তরাষ্ট্রের ‘সেকেন্ড লেডি’ হচ্ছেন ভারতীয় উষা

ফের মার্কিন মসনদে বসতে চলেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। আর তাই আনন্দে-উচ্ছ্বাসে মেতে উঠেছে রিপাবলিকান শিবির। ঠিক তখনই, খুশির অন্ত নেই হোয়াইট হাউস থেকে সাড়ে ১৩ হাজার কিলোমিটার দূরত্বে অবস্থিত, ছোট্ট অন্ধ্র গ্রামেও।

ট্রাম্পের জয়ে নাচছেন তারাও। কারণ, ট্রাম্পের রানিং মেট বা হবু ভাইস প্রেসিডেন্ট জে ডি ভ্যান্সের স্ত্রী উষা ভ্যান্সের পূর্বপুরুষের বাড়ি সেখানে। সব ঠিক থাকলে তিনি হতে যাচ্ছেন যুক্তরাষ্ট্রের ‘সেকেন্ড লেডি’।

জেডি ভান্সের স্ত্রী ঊষা চিলুকুড়ি ভান্সের সঙ্গেও রয়েছে ভারতীয় যোগ। অনেকটা যেন বিরোধী ডেমোক্র্যাট নেত্রী তথা বিদায়ী ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসের মতোই।

৩৮ বছর বয়সী উষার মা-বাবা ভারত থেকে অভিবাসী হয়ে যুক্তরাষ্ট্রে আসেন। ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যের সানদিয়েগোর শহরতলিতে জন্ম ও বেড়ে ওঠা উষা একসময় নিবন্ধিত ডেমোক্র্যাট ভোটার ছিলেন। তার পূর্বপুরুষের বাড়ি অন্ধ্র প্রদেশের ভাদলুরু গ্রামে।

যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসিতে অবস্থিত হোয়াইট হাউস থেকে ১৩ হাজার ৪৫০ কিলোমিটার দূরে সেই গ্রাম। এখানকার গ্রামবাসী ট্রাম্পের বিজয়ের জন্য প্রার্থনা করেছেন। মন্দিরে গণেশ দেবতার মূর্তির সামনে মোমবাতি জ্বালিয়ে মন্দিরের পুরোহিত আপাজি বলেন, ‘আমরা আশা করি উষা নিজের শিকড়ের প্রতি দায়বদ্ধতার জায়গা থেকে গ্রামের মঙ্গলের জন্য কিছু করবেন। আর সেটা করলে তা দারুণ হবে।’ গ্রামের বাসিন্দা শ্রীনিভাসা রাজু (৫৩) বলেন, ‘আমরা খুশি। আমরা ট্রাম্পকে সমর্থন করি।’

গ্রামের আরেক বাসিন্দা ৭০ বছর বয়সী ভেনকাতা রামানায় বলেন, ‘প্রত্যেক ভারতীয়, শুধু আমি না, আমরা প্রত্যেক ভারতীয় নাগরিক উষার জন্য গর্বিত। কারণ, সে ভারতীয় বংশোদ্ভূত। আমরা আশা করি, সে গ্রামের উন্নতির জন্য কাজ করবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা ইতিমধ্যে ট্রাম্পের শাসন দেখেছি…খুব ভালো। ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট থাকার সময় ভারতীয় ও আমেরিকানদের মধ্যে অত্যন্ত সুসম্পর্ক বজায় ছিল।’

উষা ভ্যান্সের প্রপিতামহ ভালদুরুতে বসবাস করতেন। একসময় গ্রাম ছেড়ে চেন্নাই শহরে পাড়ি জমান। সেখানে তাঁর বাবা চিলুকুরি রাধাকৃষ্ণানের শৈশব ও কৈশোর কাটে। এরপর উচ্চশিক্ষার জন্য তিনি যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমান।

উষা কখনোই তার গ্রামে যাননি। পুরোহিত আপাজি জানিয়েছেন, বছর তিনেক আগে তার বাবা গ্রামে এসেছিলেন। তখন মন্দিরের অবস্থা দেখে যান।

যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার পর উষার বাবা রাধাকৃষ্ণান কী করেছিলেন, সে বিষয়ে তেমন একটা তথ্য পাওয়া যায়নি। তবে জে ডি ভ্যান্সের স্মৃতিকথা ‘হিলবিলি এলেজি’ নিয়ে তৈরি টিভি নাটকে বলা হয়েছে, তিনি ‘শূন্য’ হাতে যুক্তরাষ্ট্রে এসেছিলেন।

উষা একজন ধর্মপ্রাণ হিন্দু। তিনি ইয়েল ও কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেছেন। ২০১৪ সালে কেন্টুকিতে জে ডি ভ্যান্সকে বিয়ে করেন। এই দম্পতির তিনটি সন্তান রয়েছে।

সর্বশেষ
logo
প্রকাশকঃ অধ্যাপক ড. জোবায়ের আলম
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদকঃ তাপস রায় সরকার
মোবাইল: +৮৮০ ১৭৩৬ ৭৮৬৯১৫
কার্যালয় : বিটিটিসি বিল্ডিং (লেভেল:০৩), ২৭০/বি, তেজগাঁও (আই/এ), ঢাকা-১২০৮
মোবাইল: +880 2-8878026, +880 1736 786915, +880 1300 126 624
ইমেইল: tbtbangla@gmail.com (online), ads@thebangladeshtoday.com (adv) newsbangla@thebangladeshtoday.com (Print)
বাংলাদেশ টুডে কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি ও বিষয়বস্তু অন্য কোথাও প্রকাশ করা বে-আইনী।
Copyright © 2024 The Bangladesh Today. All Rights Reserved.
Host by
linkedin facebook pinterest youtube rss twitter instagram facebook-blank rss-blank linkedin-blank pinterest youtube twitter instagram