রাজধানীর গুলিস্তানের জিরো পয়েন্টে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার ব্যানারে জড়ো হয়ে অবস্থান নিয়েছে ছাত্র-জনতা।
গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠার দাবিতে রোববার (১০ নভেম্বর) আওয়ামী লীগ বিক্ষোভ মিছিল কর্মসূচির পাল্টা কর্মসূচি হিসেবে একই স্থানে গণজমায়েতের ঘোষণা দিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। আর এরই অংশ হিসেবে রাতেই শুরু হয় গণজমায়েত। শনিবার (৯ নভেম্বর) রাত ১১টার দিকে তাদের সেখানে অবস্থান নেয়।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার ব্যানারে একদল মানুষ গুলিস্তানের জিরো পয়েন্টে বিক্ষোভ করছেন। তারা ‘খুনি কেন বাহিরে, মুগ্ধ কেন কবরে,’ ‘নূর হোসেন দিচ্ছে ডাক, খুনি শেখ হাসিনা নিপাত যাক’-এমন বিভিন্ন স্লোগান দিচ্ছেন। শেখ হাসিনার বিচারের দাবি তোলেন তারা।
এর আগে ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত দল আওয়ামী লীগ বাংলাদেশে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে সবাইকে সমবেত হওয়ার ডাক দিয়ে রোববার বিকেল ৩টায় গুলিস্তানের জিরো পয়েন্টের নূর হোসেন চত্বরে নেতাকর্মীদের সমবেত হওয়ার নির্দেশনা দেয়।
এর পাল্টা কর্মসূচি হিসেবে স্বৈরাচার আওয়ামী লীগের বিচারের দাবিতে একই স্থানে গণজমায়েতের ঘোষণা দেয় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। তারা ‘পতিত স্বৈরাচার আওয়ামী লীগের বিচারের দাবিতে’ রোববার দুপুর ১২টায় রাজধানীর গুলিস্তানের জিরো পয়েন্টে গণজমায়েত কর্মসূচির ডাক দিয়েছে।
গণঅধিকার পরিষদের যুগ্ম সদস্য সচিব মো. তারেক রহমান বলেন, ‘আওয়ামী লীগ একটা ম্যাসাকার করতে চায়। এই দলটা একটা সাইকোপ্যাথের দল। আমরা এখানে আছি। দেখতে চাই তাদের মাথায় কত বিষ। তাদের লেজে কত বিষ। মাথা থেকে পা পর্যন্ত পিটিয়ে তাদের বিষ নামানো হবে। জুলাই অভ্যুত্থানে খুনের বিচার না হওয়া পর্যন্ত আওয়ামী লীগ কোনো কর্মসূচি করতে পারবে না।’
উপস্থিত নেতাকর্মীরা বলছেন, তারা সারা রাত জিরো পয়েন্টে অবস্থান নিয়ে থাকবেন যেন আওয়ামী লীগের কোনো নেতা কর্মী জিরো পয়েন্টে আসতে না পারে।