শোবিজের অনেক তারকাই দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন রাজনীতির মাঠ। অভিনয়শিল্পী থেকে সাংসদ, আবার রাজনীতিবিদ থেকে শিল্পী বনে যাওয়ার বহু নজির ইতোমধ্যে আমাদের চোখে পড়েছে। বিগত সরকার আমলে বিনোদন দুনিয়ার বেশ কয়েকজন তারকা নির্বাচনে জিতে এমপিও হয়েছেন। স্বৈরাচারী সরকার পতনের পর বর্তমানে দেশ চালাচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকার। তবে তারকাদের রাজনীতির মাঠে নামার সেই ধারা এখনও অব্যাহত রয়েছে।
সেই ধারাবাহিকতায় কয়েকদিন আগেও যিনি শুধুমাত্র একজন চলচ্চিত্র নির্মাতা ছিলেন, আজ তিনি দেশের অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা। সদ্য সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টা হিসেবে অন্তর্বর্তী সরকারের যোগদান করেছেন নির্মাতা মোস্তফা সরোয়ার ফারুকী। তিনি শপথ নেওয়ার পর থেকেই শুভেচ্ছা বার্তার সাগরে ভাসছেন। বর্তমানে সবার একটাই চাওয়া, তার হাত ধরেই যেন নতুন ছেঁায়ায় আলোকিত হয় দেশের সাংস্কৃতিক অঙ্গন। মূলত সে কারণেই সরকারের এই উদ্যোগ।
এদিকে উপদেষ্টার আসনে বসেই সাংস্কৃতিক অঙ্গন সংস্কারে নানান পরিকল্পনা হাতে নিচ্ছেন ফারুকী। নির্মাতার নতুন এই পথ চলায় অন্যান্যদের মতো শুভেচ্ছা জানিয়েছেন চিত্রনায়িকা তমা মির্জা। রীতিমতো ফারুকী প্রশংসায় পঞ্চমুখ তিনি।
ভারতীয় একটি গণমাধ্যমের সাক্ষাৎকারে এ প্রসঙ্গে তমা বলেন, আমার মনে হয়, বিনোদন দুনিয়ার কোনও ব্যক্তি যদি বিষয়টি বোঝেন, তা হলে তিনি যোগ দিতেই পারেন। সেই জায়গা থেকে ফারুকী ভাই উপযুক্ত ব্যক্তি। সরকারের কাছে ফারুকী তাদের ভালো-মন্দ তুলে ধরবেন বলেও আশা করেন অভিনেত্রী।
তমার ভাষ্য, এতে দুই বাংলার ইন্ডাস্ট্রির জন্যেও সুখবর আসতে পারে। কিন্তু ভিসা জটিলতায় ভারত-বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক আদান-প্রদানের সমস্যার সমাধানে কোনো ভূমিকা রাখতে পারবেন কী ফারুকী? এমন প্রশ্নের জবাবে তমা বলেন, ভিসা জটিলতায় আমি নিজেও ভুগছি। সব সময় কাজের জন্যই যে পড়শি দেশে যেতে হবে, এমন কথা নেই। ভারতেও অনেক বন্ধু, শুভাকাঙ্ক্ষী আছেন। ইচ্ছে করে, তারা আসুক বা আমরা তাদের কাছে যাই। এই জায়গাটা অনেক দিন ধরেই বন্ধ।
তিনি আরও বলেন, যোগাযোগের এই মাধ্যমের যাবতীয় জটিলতা কাটিয়ে যেন দ্রুত পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। যাতে দুই বাংলার মানুষ আবার আগের মতো কাজের পাশাপাশি বন্ধুত্বের কারণেও দুই দেশে যাতায়াত করতে পারেন।
