কয়েক দিন আগে প্রায় তিন দশকের দাম্পত্য জীবনের ইতি টানার ঘোষণা দেন ভারতের অস্কারজয়ী সুরকার এ আর রহমান ও তার স্ত্রী সায়রা বানু। একই দিনে সংসার ভাঙার খবর জানান তারই দলের বেজ গিটারিস্ট মোহিনী দে।
একই দিনে দুটো সংসার ভাঙার খবরে যেমন বিস্মিত হন, তেমনি দুইয়ে দুইয়ে চার মেলাতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন নেটিজেনরা। প্রশ্ন তুলেন— মোহিনী দের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়ানোর কারণে কি সায়রা বানুর সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন এ আর রহমান? শুরু হয় চর্চার ঝড়। এ আর রহমান, সায়রা বানু ও তাদের সন্তানেরাও এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে এবার কথা বললেন মোহিনী দে। এ গিটারিস্টের দাবি— “এ আর রহমান আমার বাবার মতো।”
সোমবার (২৫ নভেম্বর) রাতে মোহিনী দে তার ইনস্টাগ্রামে একটি ভিডিও বার্তা দিয়েছেন। এতে মোহিনী দে বলেন— “আমার এবং এ আর রহমানকে নিয়ে এতটা ভুল তথ্য, ভিত্তিহীন অভিযোগ তোলা হয়েছে যে, এসব দেখতেও অবিশ্বাস্য লাগছে। এ আর রহমানের সঙ্গে সিনেমায়, কনসার্টে সাড়ে ৮ বছর কাজ করেছি। আমি এই সময়টাকে সম্মান করি। মানুষের সম্মান, সহানুভূতি না দেখে আমি হতাশ হয়েছি। মানুষের এমন মানসিকতা দুঃখজনক। মিডিয়া দুটো ঘটনাকে অশ্লীলভাবে প্রকাশ করেছে, এটি আমার অপরাধ মনে হয়।”
মোহিনীর কাছে এ আর রহমান বাবার মতো। এ তথ্য উল্লেখ করে মোহিনী বলেন, “এ আর রহমান একজন কিংবদন্তি। আমার কাছে সে বাবার মতো। আমি আমার জীবনে অনেককে আদর্শ হিসেবে মানি এবং অনেকে পিতৃতুল্য, যারা আমার ক্যারিয়ারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন। আমি কয়েকজনের নাম উল্লেখ করতে চাই, এর মধ্যে আমার বাবা আমাকে সংগীতের সবকিছু শিখিয়েছেন, যাকে এক বছর আগে হারিয়েছি। এরপর রয়েছেন রনঞ্জিত বারোট, যিনি আমাকে ইন্ডাস্ট্রিতে পরিচয় করিয়েছেন। লুইস ব্যাঙ্কস আমাকে তৈরি করেছেন। আর এ আর রহমান আমাকে তার শো এবং রেকর্ডিং সেশনে তার সংগীত আয়োজনে উজ্জ্বল হওয়ার স্বাধীনতা দিয়েছেন।”
মিথ্যা অভিযোগ বন্ধ করার আহ্বান জানিয়ে মোহিনী দে বলেন, “এ বিষয়ে আমি কারো কাছে ব্যাখ্যা করতে বাধ্য নই। তা ছাড়া আমি চাইও না এটি আমাকে বাধাগ্রস্ত করুক। সুতরাং দয়া করে মিথ্যা অভিযোগ বন্ধ করুন এবং আমাদের প্রাইভেসিকে সম্মান করুন।”
ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কলকাতার মেয়ে মোহিনী দে। বরেণ্য শিল্পী এ আর রাহমানের সঙ্গে ৪০টির বেশি শো করেছেন। পাশাপাশি ঢাকার গান বাংলা টেলিভিশনের ‘উইন্ড অব চেঞ্জ’-এ বাজিয়েছেন মোহিনী দে।