নিজস্ব বার্তা পরিবেশক, কক্সবাজার: জুলাই বিপ্লব পরবর্তী পরিস্থিতিতে কক্সবাজার মেডিকেল কলেজে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ থাকলেও ছাত্রলীগের সাবেক কর্মী ও বহিরাগতকে নিয়ে ক্যাম্পাসের পরিবেশকে অশান্ত করার চেষ্টার প্রতিবাদ জানিয়েছে মেডিকেলের সাধারণ ছাত্রছাত্রীরা। বুধবার (২৭ নভেম্বর) দুপুরে কলেজ ক্যাম্পাসে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধসহ ৩ দফা দাবি নিয়ে এ প্রতিবাদ সমাবেশ করেছেন।
এব্যাপারে ৩ দফা দাবি নিয়ে অধ্যক্ষ বরাবরে স্মারকলিপিও প্রদান করেছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
কলেজ সূত্রে জানা গেছে, জুলাই বিপ্লব পরবর্তী পরিস্থিতিতে সংস্কার কার্যক্রমের অংশ হিসেবে কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষ গত ২৮ আগষ্ট, সাধারণ শিক্ষার্থীদের নিয়ে ক্যাম্পাসে ছাত্র, শিক্ষক রাজনীতি প্রশ্নে ভোটের আয়োজন করে। ইতিপূর্বে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের চাঁদাবাজি, মাদক, ছাত্রদের ডেকে নিয়ে নির্যাতনের তিক্ত অভিজ্ঞতায়, সাধারণ শিক্ষার্থীদের সবাই ক্যাম্পাসে রাজনীতির বিপক্ষে ভোট দেয়।
পরবর্তীতে ২৯ আগষ্ট একাডেমিক কাউন্সিলে রাজনীতি নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
কিন্তু এসব সিদ্ধান্তকে তোয়াক্কা না করে গত ২৪ নভেম্বর একটি ছাত্র সংগঠনের দুইজন সদস্য কলেজ কর্তৃপক্ষের অনুমতি না নিয়েই ক্যাম্পাসে প্রবেশ করে এবং পতিত স্বৈরাচারের সহযোগী কয়েকজন শিক্ষার্থীর সহযোগিতায় জনসংযোগের চেষ্টা করে।
সাধারণ শিক্ষার্থীদের অসহযোগিতার কারণে তারা ব্যর্থ হয় এবং চলে যেতে বাধ্য হয়।
ক্যাম্পাসে অবস্থানরত সকল শিক্ষার্থী এ ঘটনার তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া জানায়। পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে সাধারণ শিক্ষার্থীরা প্রতিবাদ মিছিল নিয়ে অধ্যক্ষের সাথে সাক্ষাৎ করে তিন দফা দাবি নিয়ে স্মারকলিপি পেশ করেন।
তিন দফা দাবি হলো, সাধারণ শিক্ষার্থী এবং কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে গিয়ে যারা ক্যাম্পাসে ছাত্র রাজনীতির অনুপ্রবেশের পায়তারা করছে তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় আনতে হবে।
ক্যাম্পাসে ছাত্র রাজনীতি প্রবেশের মূলহোতা নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের সাবেক কর্মী এবং বহিরাগতদের ক্যাম্পাসে অবাঞ্চিত ঘোষণা করতে হবে।
ক্যাম্পাসে বহিরাগত প্রবেশ নিষিদ্ধ করতে হবে এবং যারা বহিরাগতদের প্রবেশের সুযোগ দিবে তাদের শাস্তির আওতায় নিয়ে আসতে হবে। অধ্যক্ষ মোহাম্মদ এন আলম শিক্ষার্থীদের দাবির সাথে একাত্মতা পোষণ করেন এবং জড়িত ব্যক্তিদের ব্যাপারে দ্রুত সিদ্ধান্ত গ্রহণের আশ্বাস দেন।