ডামুড্যা (শরীয়তপুর) প্রতিনিধি: ডামুড্যা পৌরসভায় মেয়র না থাকার কারণে নাগরিক সনদ তুলতে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে পৌরবাসীকে। পৌর কার্যালয়ে এসে নাগরিক সনদ উঠাতে পাঁচ জনের স্বাক্ষর প্রয়োজন। উপজেলার নির্বাহী অফিসারের স্বাক্ষর দেয়ার পরেই নাগরিক সনদ হাতে পাবে পৌরবাসী।
গত ১৮ই আগষ্ট সারা বাংলাদেশে ৩২৩টি পৌরসভার মেয়রদের অপসারণ করার একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয় এবং নাগরিক সেবা প্রদানে প্রশাসক নিয়োগ দেয়া হয়। ডামুড্যা পৌরসভার দায়িত্ব পায় ডামুড্যা উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাসরিন বেগম সেতু। তিনি মাতৃকালীন ছুটিতে থাকায় ডামুড্যা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের পদ শূন্য। ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী অফিসার দিয়ে চলছে ডামুড্যা উপজেলা ও পৌরসভা। বর্তমানে শরীয়তপুর জেলার সদর পালং উপজেলার নির্বাহী অফিসার মাইনউদ্দিন ভারপ্রাপ্ত হিসেবে দায়িত্ব পান।
ভুক্তভোগী পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা সোহেল মিয়া বলেন, নাগরিক সনদ উঠাতে আবেদন করার ১৪দিন পর হাতে পাই। ভুক্তভোগী ৩নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা সিরাজুল ইসলাম বলেন, পৌরসভায় যে কোন নাগরিক সেবা পেতে হয়রানির শিকার হচ্ছে পৌরসভার নাগরিক। অফিসে বিভিন্ন ওয়ার্ডের নাগরিক এসে জন্ম নিবন্ধন, নাগরিক সনদ, ট্রেড লাইসেন্স, পৌরকর দেয়ার জন্য ভীর করছে।
পৌর নির্বাহী কর্মকর্তা রাকিবুল ইসলামের কাছে জানতে চাইলে তিনি এ বিষয় নিয়ে কোন মুখ খুলতে চায়না। পৌরসভার কার্যসহকারী মতিউর রহমান বলেন, আমি একটি নাগরিক সনদের জন্য দুই জন সনাক্তকারী, একজন যাচাইকারী আবেদনে স্বাক্ষর করে সমাজসেবা অফিসারের কাছে আবেদন নিয়ে যেতে হয়। সমাজসেবা অফিসারের স্বাক্ষর করার পর যেতে হয় উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে। নির্বাহী অফিসারের স্বাক্ষরের পরেই নাগরিক সনদ হাতে পাওয়া যায়।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মাইনউদ্দিন এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার কাছে আসলে সই করে দেই এবং ডিসেম্বর মাস থেকে আর কোনো সমস্যা হবে না বলে তিনি আশ্বাস দেন।