সারা দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান-ক্যাম্পাসে আজ শুক্রবার বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল করবে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীরা। কোটাব্যবস্থা সংস্কার করে সংসদে আইন পাস না করা পর্যন্ত তারা আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার ‘বাংলা ব্লকেড’ পালনের সময় বিভিন্ন জায়গায় আন্দোলনকারীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে আজ বিক্ষোভ পালন করা হবে। আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়কারী নাহিদ ইসলাম গতকাল রাত ৯টার দিকে শাহবাগ মোড়ে সংবাদ সম্মেলনে এই ঘোষণা দেন।
নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক নাহিদ হাসান বলেন, ‘আমরা সব বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে অনুরোধ জানাবো, নিরাপত্তা দেওয়ার দায়িত্ব কিন্তু আপনাদের। আপনারা শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করুন। আমাদের ওপর হামলাকারীদের বিচারের আওতায় আনুন। আমাদের ওপর যে হামলা হয়েছে তার প্রতিবাদে আমরা সারা দেশের সব ক্যাম্পাসে বিকেল ৪টায় বিক্ষোভ মিছিল করবো।’
হামলা চালিয়ে ও ভয় দেখিয়ে আন্দোলন দমন করা যাবে বলে উল্লেখ করেন নাহিদ। তিনি বলেন, ‘সংসদে জরুরি অধিবেশন ডেকে কোটার যৌক্তিক সংস্কার করে চূড়ান্তভাবে কোটা সমস্যার সমাধান করতে হবে। শুধু প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির চাকরি নয়, সব সরকারি চাকরিতে অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর জন্য ৫ শতাংশ কোটা রেখে বাকি সব পদে মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ দিতে হবে।’
বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে ৪ ঘণ্টা রাজধানীর শাহবাগ মোড় অবরোধ করার পরে রাতে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা।
আন্দোলনকারীদের শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘কোথাও আন্দোলনে বাধা দেওয়া হলে সম্মিলিতভাবে তা মোকাবিলা করা হবে। শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের কারণে জনগণের যে ভোগান্তি হচ্ছে, তার দায় সরকারের। সরকার কোটার যৌক্তিক সংস্কার করলে তাদের এই আন্দোলন করার প্রয়োজন পড়ত না। তাদের আন্দোলনে জনগণের সমর্থন রয়েছে।’
এর আগে, বিকেল ৫টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস থেকে কয়েক হাজার শিক্ষার্থীর একটি মিছিল ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে শাহবাগে যায় এবং শাহবাগ অবরোধ করে।