চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে ঊর্ধ্বমুখী সবজির দাম। এখনো ৭০ টাকার নিচে মিলছে কোনো সবজি। উপজেলার বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে এমন চিত্র।
ক্রেতারা বলছেন, একেক সময় একেক অজুহাতে নিত্যপণ্য ও সবজির দাম বাড়িয়ে দিচ্ছেন বিক্রেতারা। এতে সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে যাচ্ছে সবকিছু।
অন্যদিকে ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, কারফিউ চলমান থাকায় সীমিত পরিসরে পণ্যবাহী ট্রাক প্রবেশ করছে। ফলে দাম একটু বাড়তি।
শুক্রবার (২৬ জুলাই) সকালে উপজেলার বড়তাকিয়া, মিঠাছরা বাজার ঘুরে দেখা গেছে, আলু বিক্রি হচ্ছে ৬০-৭০ টাকা কেজি দরে, পটল ৮০ টাকা, লাউ প্রতি পিস ৭০-৮০ টাকা, করলা ৮০-৮৫ টাকা কেজি, কাঁকরোল ৮০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া কেজিপ্রতি ৪০ টাকা, ধুন্দল ৭৫০ টাকা, ঝিঙ্গা ৯০ টাকা, ফুলকপি ১০০ টাকা, টমেটো ২২০ টাকা, গাজর ১০০ টাকা ও বরবটি ৮০-৮৫ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।
আর পেঁয়াজ কেজিপ্রতি ১২০ টাকা, রসুন ২০০ টাকা, আদা বিক্রি হচ্ছে ২৮০-৩০০ টাকায়। এছাড়া ডিমের দাম কমার কোনো লক্ষণ নেই। ডজনপ্রতি ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৫৫ টাকায়।
বাজারে প্রতিকেজি ইলিশ মাছ বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৬০০ টাকায়। রুই মাছ ৩৮০-৪০০ টাকা। পাঙাশ বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকা দরে। এছাড়া তেলাপিয়া ২৫০-২৬০, কাচকি ৫০০, কৈ ২০০-২৪০, চিংড়ি ৭০০-৮০০ টাকা, দেশি টেংরা ৮০০ ও পাবদা মাছ ৪৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া গরুর মাংসের কেজি ৭৫০-৭৮০ টাকা, খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে ১০০০-১১৫০ টাকা কেজি দরে।
মিরসরাই পৌরসদরে বাজার করতে আসা কিছমত জাফরাবাদ এলাকার বাসিন্দা এরশাদ উল্লাহ বলেন, একে তো ইনকাম নেই, তার ওপর দাম বেড়ে যাওয়ায় আমাদের মরা ছাড়া উপায় নেই।
আরেক ক্রেতা নুর উদ্দিন বলেন, এখন সব খাদ্য সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে। কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই। যার যেভাবে খুশি দাম বাড়িয়ে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে।
মাছ ব্যবসায়ী শংকর বলেন, পরিবহন সংকটের কারণে বাজারে মাছের সরবরাহ কম থাকায় বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। আশা করছি দু-একদিনের মধ্যে দাম কমে আসবে।