আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘জামায়াত-শিবিরের রাজনীতি করতে ১৪ দল যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তা বাস্তবায়ন করবে সরকার। আর বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া কী হবে, তার আইনগত ভিত্তি কী হবে, তা দেখে শুনে সরকার শিগগিরই পরবর্তী পদক্ষেপ নেবে।’
রতিনি বলেন, ‘আমরা আইনগত ভিত্তিটা ভালোভাবে দেখে নিতে চাই, যাতে কোনো ফাঁক-ফোকর দিয়ে স্বাধীন বাংলাদেশে এই অপশক্তি আর কোনো সুযোগ না পায়।’
মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ ও ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ এবং সব সহযোগী সংগঠনের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকদের সঙ্গে যৌথসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে এ কথা বলেন তিনি।
এর আগে যৌথসভার শুরুতে সংঘাতে নিহতের আত্মার মাগফেরাত কামনা ও আহতদের সুস্থতা কামনায় দোয়া পরিচালনা করা হয়। পরে এক মিনিট নীলবতা পালন করেন নেতারা।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘জামায়াত-শিবিরের রাজনীতি নিষিদ্ধ করার জন্য দীর্ঘদিন থেকে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সামাজিক সংগঠন, মুক্তিযোদ্ধা, নাগরিক সমাজ দাবি করে আসছে। শহীদ জননী জাহানারা ইমামের নেতৃত্বে ‘একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি’ সে সময়ে গঠিত গণআদালত, পরবর্তীতে গণজাগরণ মঞ্চের দাবিও ছিলো জামায়াত-শিবির নিষিদ্ধ করা। এছাড়া দেশের সর্বোচ্চ আদালতের রায়েও জামায়াতের নিবন্ধন বাতিলে হাইকোর্টের রায় বহাল রাখা হয়েছে।’
তিনি বলেন, বাংলাদেশের গণপ্রতিনিধিত্ব আইন অনুযায়ী, রাজনৈতিক দল হিসেবে নির্বাচন কমিশনের নিবন্ধন না থাকলে কোনো রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে এমন নজির আছে, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর হিটলারের নাৎসি পার্টি রাজনীতি করতে পারে না জার্মানিতে। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল কর্তৃক জামায়াতে ইসলামীকে দল হিসেবে যুদ্ধপরাধের সাথে সংশ্লিষ্ট বলে উল্লেখ আছে। মূলত জামায়াত ধর্মের মুখোশ পরা সাম্প্রদায়িক অপশক্তি। নানান সময়ে তাদের দ্বারা প্রকাশ্যে ও গোপনে নানা অপতৎপরতা নাশকতা, ষড়যন্ত্র রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকাণ্ডের সম্পৃক্ততা থাকার প্রমাণ পাওয়া গেছে এবং দেশের জনগণ সেটা অবলোকন করেছে।
এ সময় আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আব্দুর রাজ্জাক, জাহাঙ্গীর কবির নানক, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, কামরুল ইসলাম, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম, ড. দীপু মনি, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমেদ হোসেন, বি এম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম, এস এম কামাল হোসেন, আফজাল হোসেন, সুজিত রায় নন্দী, আইনবিষক সম্পাদক অ্যাডভোকেট নজিবুল্লাহ হিরু, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।