কোটার শতভাগ দাবি মানার পরেও আন্দোলন চালানো হয়েছে। এর পেছনে জঙ্গিদের সম্পৃক্ততা রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, একদিকে আন্দোলন চলেছে, অন্যদিকে ঢাকার চারদিকে জঙ্গি ঢুকে মানুষ হত্যা ও গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় ধ্বংসজজ্ঞ চালিয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) দুপুরে রাজধানীর কৃষিবিদ ইন্সটিটিউটে কৃষক লীগের আলোচনা সভায় এমন মন্তব্য করেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আদালতে ন্যায়বিচারের আশ্বাস দেয়ার পরও আন্দোলনের নামে যে এতো প্রাণ ঝরে গেলো, এ দায় কার? কোটা সংস্কার করে দেয়ার পরেও আন্দোলন না থামার পেছনে কারা ছিল, সে প্রশ্নও রাখেন শেখ হাসিনা। বলেন, দাবি মানার পর আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার কি যৌক্তিকতা আছে? দেশ যখন উন্নতির শিখরে উঠছে, তখন পাকিস্তানের প্রেতাত্মারা এসব ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে।
মিথ্যা গুজব ছড়িয়ে মানুষকে আন্দোলনে নামানো হয় জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ছাত্রলীগ করা ছাত্রীদের লাঞ্ছিত করা হয়েছে। তিনজন নারী সাংবাদিককে লাঞ্ছিত করা হয়েছে। পুলিশ ও আওয়ামী লীগ নেতাদের নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। তাদের হাত থেকে কেউই রক্ষা পায়নি।
এছাড়াও বক্তব্যে জামায়াত-শিবিরকে সন্ত্রাস বিরোধী আইনের ১৮ ধারায় নিষিদ্ধ হবে বলে জানিয়েছেন সরকারপ্রধান। বলেন, তিনি ক্ষমতায় থাকতে মানুষের জীবন নেয়া হবে এমনটা তিনি হতে দিবেন না।