ঢাকা
২০শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
সকাল ৮:৫৬
logo
প্রকাশিত : আগস্ট ৩, ২০২৪
আপডেট: আগস্ট ৩, ২০২৪
প্রকাশিত : আগস্ট ৩, ২০২৪

শিগগিরই বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে চলছে না ভারতের ট্রেন

বাংলাদেশ-ভারত রেল ট্রানজিটের মাধ্যমে বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে ভুটান সীমান্ত পর্যন্ত চলাচল করতে চায় ভারতের ট্রেন। গত জুন মাসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফর উপলক্ষে রেলের ট্রানজিট বিষয়ে সমঝোতার পর ভারতীয় রেলওয়ে বোর্ডের পক্ষ থেকে এ নিয়ে বাংলাদেশ রেলওয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। তবে ভারতের ট্রেন শিগগিরই বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে ট্রানজিট পাচ্ছে না।

কারণ রেল ট্রানজিট চালুর জন্য যেসব প্রস্তাব ও সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হওয়া দরকার, সেগুলো হতে আরো কিছুটা সময় লাগবে।

ফলে বাংলাদেশ রেলওয়ে এই সময় সম্পর্কে পরিষ্কার কোনো ধারণা দিতে পারেনি। তবে প্রস্তাব চূড়ান্ত করতে বাংলাদেশ রেলওয়ের পক্ষ থেকে ৯ সদস্যের একটি ওয়ার্কিং কমিটি গঠন করা হয়েছে।

ওয়ার্কিং কমিটি প্রথমে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলোর সঙ্গে বৈঠক করে মতামত চাইবে। মতামতের ভিত্তিতে ওয়ার্কিং কমিটি একটি প্রস্তাব চূড়ান্ত করে ভারতের রেলওয়ে বোর্ডের কাছে পাঠাবে।

ভারতের রেলওয়ে বোর্ড ওই প্রস্তাবের ওপর মতামত দেবে। এর পরই বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে ভারতীয় ট্রেন চলাচলের বিষয়ে একটি চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত তৈরি হবে। ওই সিদ্ধান্তের ওপর ভিত্তি করে দুই দেশের রেলওয়ে একটি চুক্তি করবে। তার পরই শুরু হবে ট্রেন চলাচল।

গত বৃহস্পতিবার রেল ভবনে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. হুমায়ুন কবীরের সভাপতিত্বে একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ওই বৈঠকে পরীক্ষামূলক ভারতের খালি ট্রেন (এমটি র‌্যাক) চালানোর বিষয়ে আলোচনা হয়। একই সঙ্গে রাজশাহী থেকে কলকাতা পর্যন্ত ট্রেন চালানোর বিষয়ে যে সমঝোতা হয়েছে, সে বিষয়েও আলোচনা হয়।

বৈঠকে উপস্থিত বাংলাদেশ রেলওয়ের শীর্ষ এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করে বলেন, ‘আমাদের কয়েকটি মন্ত্রণালয় এই প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত। এ নিয়ে তারা তাদের সিদ্ধান্ত জানাবে।

ওই সিদ্ধান্তগুলো সমন্বয় করে আমরা ভারতকে জানাব। সেটির ওপর আবার ভারত মতামত দেবে। সব মিলিয়ে এটি একটি সময়সাপেক্ষ ব্যাপার। সময় ঠিক কতটা লাগবে সেটি এখন বলা সহজ নয়।’

বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক সরদার সাহাদাত আলী বলেন, ‘এর জন্য ৯ সদস্যের একটি ওয়ার্কিং কমিটি গঠন করা হয়েছে। ওই কমিটি বাকি প্রক্রিয়া ঠিক করবে। কমিটি প্রস্তাব তৈরি করলে সেটি ভারতকে জানানো হবে।’

ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের নদীয়া জেলার গেদে রেলওয়ে স্টেশন থেকে আলিপুরদুয়ার জেলার বীরপাড়ার ডালগাঁও রেলওয়ে স্টেশন পর্যন্ত ট্রেন চালাতে চায় ভারত। এই দুই স্টেশনের মাঝে বাংলাদেশের রেলপথ ব্যবহার করলে ভারতের ট্রেন চালানোর সময় ও দূরত্ব অনেক কমবে।

এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশের দর্শনা দিয়ে প্রবেশ করতে চায় ভারতের ট্রেন। পরে ঈশ্বরদী-আব্দুলপুর-পার্বতীপুর হয়ে চিলাহাটি পর্যন্ত রেলপথ ব্যবহার করে আবার ভারতে প্রবেশ করবে। চিলাহাটি দিয়ে বের হয়ে ভারতের হলদীবাড়ি-জলপাইগুড়ি-ধুপগুড়ি-ফালাকাটা-হাসিমারা হয়ে ডালগাঁও স্টেশন পর্যন্ত যাবে গেদে থেকে ছেড়ে আসা ট্রেন।

বাংলাদেশের ট্রেন ভুটান সীমান্তে যাওয়া কত দূর?

একই সমঝোতার আওতায় বাংলাদেশও ভারতের রেলপথ ব্যবহার করে ভুটান সীমান্তের কাছাকাছি পর্যন্ত ট্রেন চালাতে চায়। রেলওয়ে বলছে, এই প্রক্রিয়া নিয়ে তেমন কোনো জটিলতা নেই। বিষয়টি নিয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে উদ্যোগ নিতে হবে। ব্যবসায়ীদের ভুটানে পণ্য পাঠানোর কথা জানাতে হবে। তাহলেই ভুটান সীমান্তের কাছাকাছি ট্রেন যাওয়ার প্রক্রিয়া তৈরি হবে।

রাজশাহী-কলকাতা ট্রেন চলতেও সময় লাগবে

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরে রাজশাহী থেকে কলকাতা পর্যন্ত যাত্রীবাহী ট্রেন চালানোর একটি সমঝোতা চুক্তি হয়। কিন্তু রাজশাহী-কলকাতা পথে ট্রেন চলাচলে আরো সময় লাগবে। অবশ্য বাংলাদেশের পক্ষ থেকে এরই মধ্যে ট্রেন চলাচলে পথ চূড়ান্ত করা হয়েছে। মূলত ভাড়া নির্ধারণ, ইমিগ্রেশন ব্যবস্থা স্থাপন, অবকাঠামো নির্মাণসহ আনুষঙ্গিক কাজ শেষ হলে ট্রেন চলাচল শুরু হবে।

বাংলাদেশ রেলওয়ে সূত্র বলছে, বৃহস্পতিবারের সভায় এসংক্রান্ত বিষয়েও আলোচনা হয়েছে। রাজশাহীবাসীর দাবি ছিল, ট্রেনটি যেন রহনপুর হয়ে ভারতে প্রবেশ করে। কিন্তু এতে দূরত্ব অনেক বেড়ে যাওয়ায় দর্শনা দিয়ে ভারতে ট্রেন প্রবেশের পথ চূড়ান্ত করা হয়েছে।

রেলওয়ের মহাপরিচালক সরদার সাহাদাত আলী বলেন, ‘যাত্রীদের আসনপ্রতি ভাড়া কেমন হবে সে বিষয় আমরা আলোচনা করে ঠিক করব। এ ছাড়া যাত্রী ওঠানামা ইমিগ্রেশনসহ কী ধরনের সুযোগ-সুবিধা লাগবে এটার জন্য একটা কমিটি করা হবে। তারপর অবকাঠামো নির্মাণ হলে ট্রেন চালানোর সিদ্ধান্ত হবে। তবে কবে ট্রেন চালু হবে, সেটা এখনই বলা যাচ্ছে না।’

এসংক্রান্ত রেলওয়ের একটি কমিটি বেশ কিছু সুপারিশ জমা দিয়েছে। ওই সুপারিশের নথি বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, ভারতীয় কোচ (বগি) দিয়ে সপ্তাহের তিন দিন নতুন এই রুটে ট্রেন চালানোর প্রস্তাব দিয়েছে ভারত। তবে বাংলাদেশ রেলওয়ে সব কিছু চূড়ান্ত করে কয় দিন ট্রেন চালাবে সেটি এখনো চূড়ান্ত করেনি। বাংলাদেশ রেলওয়ের প্রাথমিক আলোচনায় দুই দিন ট্রেন চালানোর কথা বলা হয়েছে।

সর্বশেষ
logo
প্রকাশকঃ অধ্যাপক ড. জোবায়ের আলম
কার্যালয় : বিটিটিসি বিল্ডিং (লেভেল:০৩), ২৭০/বি, তেজগাঁও (আই/এ), ঢাকা-১২০৮
মোবাইল: +880 2-8878026, +880 1300 126 624
ইমেইল: tbtbangla@gmail.com (online), ads@thebangladeshtoday.com (adv) newsbangla@thebangladeshtoday.com (Print)
বাংলাদেশ টুডে কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি ও বিষয়বস্তু অন্য কোথাও প্রকাশ করা বে-আইনী।
Copyright © 2024 The Bangladesh Today. All Rights Reserved.
Host by
linkedin facebook pinterest youtube rss twitter instagram facebook-blank rss-blank linkedin-blank pinterest youtube twitter instagram