ভয়ে-আতঙ্কে সচিবালয় থেকে বের হয়ে গেছেন সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। দুপুর ১২টা বাজার কিছু আগে কর্মস্থল ছাড়তে শুরু করেন সচিবালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। এক ঘণ্টার মধ্যে দুপুর ১টার আগেই ফাঁকা হয়ে যায় প্রশাসনের প্রাণকেন্দ্র।
কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তারা ভয়ে ও আতঙ্কে কর্মসংস্থান ছেড়ে চলে যাচ্ছেন। কেউ কেউ জানিয়েছেন পুলিশ নিরাপত্তা দিতে পারবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে। এ কারণে অফিস ছুটি দিয়ে দেওয়া হয়েছে। তাই সবাই কর্মসংস্থান ছেড়ে যাচ্ছেন। তবে কে ছুটি দিয়েছেন তার উত্তর কেউ দিতে পারেননি।
সচিবালয়ে অবস্থান করে দেখা যায়, দুপুর ১২টা বাজার কিছু আগে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা কর্মস্থল থেকে বের হতে শুরু করেন। দুপুর ১২টা ৫ মিনিটে কর্মকর্তাদের বের হয়ে যাওয়ার লম্বা লাইন বাঁধে সচিবালয়ের প্রধান ফটকে।
এরপর সচিবালয়ের ৬ নম্বর ভবনের সামনে এসে দেখা যায়, কর্মকর্তাদের একটি অংশ পায়ে হেঁটে সচিবালয় ছাড়ছেন। আর একটা অংশ তাদের গাড়িতে করে সচিবালয় থেকে বের হয়ে যাচ্ছে। দেখতে দেখতে সচিবালয় খালি হয়ে যায়। বিভিন্ন মন্ত্রণালয় দুপুর ১টার আগেই খালি হয়ে যায়। মন্ত্রণালয়ের অফিসগুলো খালি পড়ে রয়েছে। প্রতিটি কক্ষে তালা ঝুলছে। অধিকাংশ কক্ষের জানালা বন্ধ, তবে কিছু কক্ষের জানালা খোলা দেখা গেছে।
সচিবালয়ে থেকে বের হয়ে যাওয়ার সময় তথ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মচারী মিজানুর রহমান বলেন, সবাই অফিস ছেড়ে চলে যাচ্ছেন। তাই আমরাও চলে যাচ্ছি। শুনেছি, আমাদের কেউ নিরাপত্তা দিতে পারবে না। এ পরিস্থিতিতে অফিস করা সম্ভব না।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা শামীমা বলেন, আমি দুই বছর ধরে দুর্যোগ মন্ত্রণালয়ে আছি। আজ নির্ধারিত সময়ে অফিসে আসি। অফিসে আসার পর উপর থেকে ছুটি দিয়ে দিয়েছে। তাই বাসায় চলে যাচ্ছি।
কে ছুটি দিয়েছেন? এমন প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, আমরা শুনেছি উপর থেকে বলছে সচিবালয় খালি করে দিতে। কেউ নিরাপত্তা দিতে চাচ্ছে না। মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।
দুর্যোগ মন্ত্রণালয়ের আর এক কর্মকর্তা বলেন, বিভিন্ন জায়গায় হামলা চালানো হয়েছে। আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় অফিস পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। থানা পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। সচিবালয়ে হামলা হতে পারে, মানুষের মধ্যে এমন আতঙ্ক রয়েছে। এ কারণে সচিবালয় থেকে সবাই বাসায় চলে যাচ্ছে।