শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর থেকে সারাদেশের মতো রাজধানী ঢাকার পরিস্থিতিও থমথমে। গতকাল মঙ্গলবার ঢাকায় যান চলাচল করলেও মানুষের উপস্থিতি কম ছিল। তবে আজ রাজধানীতে যান চলাচল বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মানুষের উপস্থিতিও বেড়েছে। সকাল থেকেই অফিসগামী মানুষের ভিড়সহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের চলাচল দেখা গেছে ঢাকার সড়কে।
বুধবার (৭ আগস্ট) রাজধানীর বিভিন্ন স্থান ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।
এদিন ভোর থেকেই সড়কে মানুষের উপস্থিতি দেখা যায়। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে অফিসগামী মানুষের ভিড় বাড়তে থাকে। তবে সড়কে ব্যক্তিগত গাড়ি কম দেখা গেছে। সকালে সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও রাইড শেয়ারিংয়ের মোটরসাইকেলের সংখ্যাও কম ছিল।
অন্যদিকে বিভিন্ন সড়কে রিকশা ও অটোরিকশার উপস্থিতি বেশি দেখা গেছে। অলিগলি থেকে প্রধান সড়ক সব জায়গায় ব্যাটারিচালিত রিকশার আধিক্য দেখা যায়। পর্যাপ্ত গণপরিবহনও চলাচল করছে।
রাজধানীর মৌচাক মোড়ে আয়াত পরিবহনের চালকের সহকারী বিজয় বলেন, ‘গতকালের চেয়ে রাস্তায় আজ মানুষ বেশি। বেলা বাড়ার সঙ্গে হয়তো মানুষ আরও বাড়বে। এখনো অনেকে ভয়ে বের হয় না।’রাইড শেয়ারিংয়ের বাইক চালক আব্দুল হাদী বলেন, ‘ভাড়া কম পাচ্ছি। দেশের পরিস্থিতি ঠিক না হওয়া পর্যন্ত আগের মতো ভিড় হবে না। রাস্তায় বেশি যানজটও নেই।’
এদিকে আজও রাজধানীর সড়কে ট্রাফিক পুলিশের উপস্থিতি দেখা যায়নি। কয়েকটি পয়েন্টে শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে শিক্ষার্থীদের দায়িত্ব পালন করতে দেখা যায়।
আজ রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার সড়কের দুই পাশে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দোকানসহ সব ধরনের দোকানপাটও খুলেছে।
জুলাই মাসে কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পুরো দেশ। ১৮ ও ১৯ জুলাই আন্দোলনকে ঘিরে সৃষ্ট সহিংসতায় অনেক প্রাণহানির ঘটনা ঘটে। এরপর সরকারবিরোধী আন্দোলন তীব্র হতে থাকে। অবশেষে গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে দেশ ছাড়েন শেখ হাসিনা।